‘চুন্নু একদিন আপনার দিকে আঙুল তুলবেন’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বিএনপি নেতা আখ্যায়িত করে রওশন এরশাদ পন্থী নেতারা বলেছেন, বিএনপির টিকিটে এমপি হতে যাওয়া চুন্নু রওশন এরশাদের গাড়ির পতাকা নামিয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে যে স্পর্ধা দেখাচ্ছেন, জনাব চেয়ারম্যান একদিন আপনার দিকেই সেই আঙুল উঠবে। মনে রাখবেন পরগাছা বাড়তে দিতে নাই। প্রশ্রয় দিলে বানরও মাথায় ওঠে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশে করে এসব কথা বলেন রওশন পন্থী নেতারা।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্'র সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ক্রান্তিকালে বেগম রওশন এরশাদ সব সময় অভিভাবক হিসেবে অর্বিভূত হয়ে আজও দল টিকিয়ে রেখেছেন, সেই মানুষটা নিয়ে যারা নানা ধরনের মিথ্যা বানোয়াট গল্প সাজিয়েছেন, জাতি তাদের অতীত জানতে চায়।
বক্তারা বলেন, ২০১৪ সালে যারা রওশন এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে বলেছিলেন, তারা আজ নতুন গল্প তৈরি করছেন। তাদেরই ইন্ধনে কোথাকার কোন টেকনেশিয়ান রওশন এরশাদের বিপক্ষে কথা বলার দূঃসাহস দেখাচ্ছেন। স্বীকৃত বিএনপির পেইড সাংবাদিকের উপস্থাপনায় এরশাদ ও রওশন এরশাদকে নিয়ে মিথ্যা নাটক বানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে, যা ডিজিটাল আইন লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান জাপা নেতারা।
পার্টির চেয়ারম্যানকে আরও সংযত ভাষায় কথা বলার পরামর্শ দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতারা। পাশাপাশি তারা বলেন, আজ অবৈধ মহাসচিব যে ভাষা কথা বলছেন, তা একদিন বুমেরাং হবে।
নেতারা বলেন, সম্পদের মালিক কখনো সম্পত্তির ক্যান্সার নয়। সম্পদ যখন অন্যকে দেখভাল করতে দেওয়া হয়, তখন অযোগ্য পরিচালকের অদক্ষতায় পরগাছা জন্ম নেয়। এসব পরগাছা সময় মতো উপড়ে ফেলতে হয়। যারা বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদকে নিয়ে কটুকথা বলছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, সময় এসেছে পরগাছা উপড়ে ফেলা হবে,ইনশাল্লাহ।
বৈঠকে জাপার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্ব পুনর্বণ্টন ও অক্টোবরের মধ্যে সব জেলার সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি সম্পন্নের সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ঘোষিত আসন্ন জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই অসমাপ্ত জেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিগুলো সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ গোফরান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভাকেট জিয়াউল হক মৃধা, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক এমপি ও ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক এমপি ও প্রেসিডিয়াম জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু, শ্রমিক নেতা শাহ আলম তালুকদার, মুক্তার উদ্দিন মাসুম, খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাকুর রহমান মুস্তাক, মিজানুর রহমান দুলাল, সাইফুল ইসলাম পিটু, মো. নজরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন জহির, হাসনা হেনা, মনোয়ারা তাহের মানু ও শেখ রুনা।
এসএম/এমএমএ/