বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়: ড. মাসুদ

সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, একটি চক্র রয়েছে যারা প্রচার করে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এই অপপ্রচারের জবাবে আমরা বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ হবে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর হাজারীবাগ পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট দায়িত্বশীলদের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মাসুদ বলেন, ‘সোনার বাংলার জন্য আগে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। সোনার মানুষ তৈরি করতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, নৈতিকতা, আদর্শ ও চরিত্রবান নাগরিক তৈরি করার সেরা সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য আন্দোলন করে না, জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন করে ইসলামের সু-মহান আদর্শের ভিত্তিতে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। একটি চক্র রয়েছে যারা প্রচার করে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে উগ্রবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’

তাদের ওই অপপ্রচারের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে উগ্রবাদী মুক্ত বাংলাদেশ হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব কোনো তন্ত্রমন্ত্র নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কুরআন ও সুন্নাহর আইন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।’

ইসলাম ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগে মানুষ যখন আলো খুঁজছে তখন মানুষ আল্লাহর বিধানের দিকে কোরআনের পথে ধাবিত হয়েছে। এজন্যই আলোর পথ খুঁজে পাওয়া গেছে। তাই কোরআনের পথে ফিরে এলেই বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন একটি আদর্শ রাষ্ট্র।’

ছাত্র-জনতার বিপ্লব আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ নিজে কোরআনে বলেছেন যখন আমার সাহায্য ও বিজয় তোমরা পাবে তখন মানুষ দলে দলে তোমাদের দিকে ছুঁটবে। আজকে মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকে ছুঁটছে দেখে অনেকেই হতাশায় ভুগছে।’

তাদেরকে আল্লাহর বাণী বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়ে ড. মাসুদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মনে করে এখন মহাসমাবেশ করার সময় নয়, এখন ছাত্র-আন্দোলনে শহীদ-আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং আহত ভাই-বোনদের চিকিৎসা সহ সার্বিক খোঁজ-খবর রাখতে হবে। আর জামায়াতে ইসলামী সেটাই করছে। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের শূরা সদস্য ও হাজারীবাগ পূর্ব থানা আমির শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং হাজারীবাগ পূর্ব থানা সেক্রেটারি হাসান আল বান্নার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও হাজারীবাগ-কামরাঙ্গীচর জোনের পরিচালক প্রফেসর নুর নবী মানিক, সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আবদুল বারী আকন্দ ও আশরাফুল ইসলাম ফারুক।

এছাড়াও শফিকুল ইসলাম সান্টু, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, মো: ইউসুফ খান, আব্দুর রাজ্জাক, ইঞ্জিনিয়ার মামুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ ফয়সাল, আশিকুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  

ছবিঃ সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী দমন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র না থাকা এবং দেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি।

এক বিবৃতিতে কুয়ালালামপুরের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০, ইন্দোনেশিয়ার ২৪, নেপালের ১৬, পাকিস্তানের ৩, মিশর ও সুদানের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃদের নথিপত্র ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  

ছবিঃ সংগৃহীত

দেড় মাস পড়েই মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। রোজাদারদের খাদ্যতালিকায় থাকে খেজুর ও ছোলা। উচ্চমূল্যে ভোজ্য দ্রব্যাদি কিনতে সাধারণ মানুষের যেন হিমশিম খাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। আয়ের বিপরীতে অনেক বেশি দামে সব ধরনের পণ্য কিনতে হচ্ছে।

প্রতি রমজানে সব পণ্যের দাম হয়ে যায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। এই বছর মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা আবারো যদি সব ভোজ্য পন্যের দাম বাড়ে তাহলে হয়তো কিনে খাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে।

এ নিয়ে একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'খাবার-দাবার কিনে খাওয়া আমাদের জন্য না। ঐটা বড়লোকের জন্য।'

আরো একজন ভোক্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'দিনমজুরের জন্য আসলে বেঁচে থাকা না। আমি দিনে ইনকাম করি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। অথচ এক লিটার তেল কিনতে হয় ১৯০ টাকা দিয়ে।'

এইদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, রমজানকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি চাহিদার পণ্য খেজুর, এর যোগান যেন বাজারে এখন সবচেয়ে কম। অথচ এই পণ্যের ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছে সরকার। তবে ট্যাক্স কমানোর পরেও রমজানে খেজুরের দাম কমবে না বলে যেন তার আগাম বার্তা দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

এ নিয়ে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, 'মাত্র পাঁচ শতাংশ টেক্সট কমিয়ে দিলে সেটা আমার মনে হয় না ক্রেতাদের উপর কোন বড় প্রভাব ফেলবে। আমার কাছে মনে হয় এটা চোখে ধুলা দেওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা।'

 

Header Ad
Header Ad

চুরির টাকা ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবিঃ সংগৃহীত

দেশ থেকে চুরি হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ফাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার সময় তিনি এ‌ সহায়তা চান।

জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারির প্রধান ও ফেডারেল মিনিস্টার ফর স্পেশাল টাস্কস ওল্ফগ্যাং স্মিড, বেলজিয়ামের রাজা কিং ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিস, দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া ফোরামে দ্বিতীয় দিনে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে কীভাবে দিবালোকে ডাকাতি হয়েছে- তা খতিয়ে দেখতে শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাংক, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস জার্মান মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের কথাও বলি।’ এ বিষয়ে জার্মানির সরকারের সমর্থন কামনা করেন এবং জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

জার্মান মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এপ্রিলে জার্মানির একটি নতুন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নেপালের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। নেপাল বিদ্যুৎ বিক্রি করতে সত্যিই প্রস্তুত ও বাংলাদেশ একটি ভালো বাজার। এটি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে পারে।’

ড. ইউনূস সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জলবায়ু অর্থায়নসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ রাখার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি জানান, ২৭ বছরের কম বয়সী তরুণরা দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক।

এ সময় ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা ও আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন। এ ছাড়া জার্মান মন্ত্রী ও সুইস কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স শিসেকেদির সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয় যে কীভাবে বেলজিয়ামের একজন যুবরাজের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দ্বারা চালু করা একটি ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি আফ্রিকার দেশটিতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের আকার প্রসারিত করতে সহায়তা করেছে।

কঙ্গোর সংঘাতপ্রবণ এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তনকারী প্রিন্স ইমানুয়েল ডি মেরোড বলেন, ‘সংঘাতের পর ক্ষুদ্রঋণ সেখানে ২১ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পর কঙ্গোর বনাঞ্চলের আয়তন এখন ব্রিটেনের দ্বিগুণ। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।’

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট এবং জাহাজ চলাচলসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে চাই। কারণ আরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।’

বিশ্বের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের পর দুদেশের মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছিলেন ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার বড় ভক্ত। দারিদ্র্য, সম্পদের কেন্দ্রীভবন, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি আত্মধ্বংসী সভ্যতা উদ্ধারের লক্ষ্যে থাই প্রধানমন্ত্রীকে ‘থ্রি জিরো’ ধারণা সম্পর্কে অবহিত করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের ৫৮টি দেশে প্রায় ৫ হাজার ‘থ্রি জিরো’ ক্লাব রয়েছে।’

থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের এপ্রিলে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন।’

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজিবিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

লুৎফে সিদ্দিকী চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জার্মান মন্ত্রী ভোল্ফগ্যাং স্মিডকে অবহিত করেন এবং বলেন, ‘সরকার এ বিষয়ে একটি সম্পদ পুনরুদ্ধার কমিটি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার প্রাথমিকভাবে শীর্ষ ২০ অর্থপাচারকারীকে টার্গেট করেছিল।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার  
রমজানের খেজুর ও ছোলা কিনতে হিমশিম খেতে পারে সাধারণ মানুষ  
চুরির টাকা ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক