পাঠ্যপুস্তকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ২০২৩ এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে তথ্য ও বানানগত ভুল এবং ভাষাগত আগ্রাসন চালানো হয়েছে। বিভিন্ন বই বিশ্লেষণ করে দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, পাতায় পাতায় ইংরেজি ও বাংলা বানানে ভুল, শাব্দিক অর্থে ভুল, ইতিহাসের তথ্যে ভুল, বঙ্গবন্ধুর বাবার নামে ভুল। এসব ভুলে ভরা পাঠ্যবই শিশুদের পাঠদান করা হলে শিশুরা ভুল শিখবে। আমরা আরও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, বইয়ের বিভিন্ন গল্পের উদাহরণে যেসব চরিত্র ব্যবহার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশের নামে দেশীয় ছাপ নেই বরং সুকৌশলে পাশ্চাত্য এবং ভারতীয় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সার্বিক পর্যালোচনায় এমন বহু বিষয় আছে যা এদেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস, সামাজিক পুঁজির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিজ্ঞানের নামে বিজ্ঞান অসমর্থিত বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই অঞ্চলের ইতিহাসের একটি ভুল ও মিথ্যা বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যার ভিত্তি আমাদের কাছে মনে হয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে ব্রাক্ষণ্যবাদ, হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক এজেন্ডা। কারণ এই অঞ্চলে ইসলাম ও মুসলমানদের ঔপনিবেশিক ও আগ্রাসী শক্তি আকারে দেখানো হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। আমাদের পাঠ্যবইয়েও এই কাজ করা হয়েছে।
চরমোনাই পীর বলেন, ট্রান্সজেন্ডারের ইস্যু আরেকটি ভয়াবহ দিক। এটা আমাদের পরিবার, সমাজ, মানব প্রজননসহ গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলবে। অতএব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, এই বই সংশোধন না বরং বাতিল করতে হবে এবং সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও উলামাদের সমন্বয়ে নতুন করে বই লিখতে হবে। পাশাপাশি এই বই রচনার সঙ্গে জড়িতদের ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি আছে কি না তা খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার দুটি বই বাতিল করে ভালো কাজ করেছে। কিন্তু এই দুটি বই ছাড়া অন্যান্য বইয়েও অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। সবগুলো বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
এমএইচ/এসজি