বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এ জাতিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। অস্ত্রের মুখে এ দেশে কোনো সরকার থাকতে পারেনি। ব্রিটিশ থাকতে পারেনি, আইয়ুব খান থাকতে পারেনি। বাম ও রামদের কোনো শক্তি এ দেশের মানুষ তোয়াক্কা করেনি, করবেও না।
তিনি বলেন, বহু দলের শাসন আমরা দেখেছি। আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছি কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখিনি। এর কারণটা কী? এর কারণ হলো নেতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। আওয়ামী লীগকে বলতে চাই, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আখড়া বাজার ব্রিজের পাশে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ- জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, মাদার গাছ লাগিয়ে আমের আশা করা যায় না। এদেশে একসময় শুনেছি হাওয়া ভবন, খাম্বা কেইস, ট্রান্সফার কেইস, খাম্বা বিক্রি করে এত টাকা বিভিন্নভাবে লুটপাট করা হয়েছে। এখন আমরা কী দেখি? কখনো পত্রিকায় দেখি ১০ লাখ কোটি টাকা কখনো দেখি ১৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এক কেজি নাটবল্টুর দাম এক কোটি টাকা, পর্দার দাম ৮০ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, দেশে সব লুটপাট, চুরি আর ডাকাতি চলছে। সব দলের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন হয়নি। এজন্য আমরা মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত এদেশে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ দেশে শান্তি আসবে না। আমরা চাই নীতি ও আদর্শের পরিবর্তনের মাধ্যমে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে, এ দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মু'তাসিম বিল্লাহ মুত্তাকীর সভাপতিত্বে যুব সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি প্রভাষক আলমগীর হোসাইন তালুকদার, আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মুহাদ্দিস শোয়াইব আব্দুর রউফ, জামিয়া কারীমিয়া মুহতামিম শফিকুল ইসলাম ফারুকী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ বিভাগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আহমাদ, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি কফিল উদ্দিন।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মারুফ শেখ। বিশেষ বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জোবায়ের আহমাদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম।
সম্মেলন শেষে আগামী ১ বছরের জন্য মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম শাহীনকে সভাপতি ও এমদাদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয়। এসময় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
এসজি