‘জানাজার মতো স্পর্শকাতর ঘটনায় ডাণ্ডাবেড়ি মানবতাবিরোধী’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় মহাসচিব গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় আলী আজমকে হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় মায়ের জানাজায় উপস্থিত করানোর ঘটনাকে চরম অমানবিক ও ভদ্রতা বিবর্জিত ঘটনা বলে অবহিত করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেন, ‘মায়ের জানাজার মতো একটি স্পর্শকাতর ঘটনায় এ অমানবিক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণ চরম ভদ্রতা বিবর্জিত ও মানবতাবিরোধী। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৩ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পর হাতকড়া ও ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়ানোর ঘটনা মানবতার চরম লঙ্ঘন। বিচারাধীন মামলায় এমন একজন আসামিকে কোনোভাবেই ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর সুযোগ নেই।’
এটি বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি আদেশ বহাল থাকা সত্ত্বেও তারা এটা করেছেন। এটা কোনো সভ্য এবং ভদ্রোচিত আচরণ হতে পারে না, যোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহসচিব গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম
রুহুল আমীন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান শেখ, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুফ্তি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান প্রমুখ।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর পর ডাণ্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ানোর যে ঘটনার অবতারণা করা হয়েছে তা দেশের শাসন কাঠামো, নীতি-পদ্ধতি পুরোনো উপনিবেশিক আমলের ঘটনা মনে করিয়ে দেয়। এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপকর্ম বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের জন্যে চরম লজ্জাকর ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠাগুলোকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাঁয়তারা করছে। স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতায় ছিল তারাই এই মেরামতযোগ্য অকার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছে। ইতোপূর্বে ক্ষমতায় থাকা সবগুলো দলের প্রবণতা একই রকম ছিল ও আছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে বিগত ৫২ বছরে কোনো সরকারই একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বিরোধী দল রাষ্ট্র মেরামতের কথা বললেও নির্বাচন ব্যবস্থার বিষয়ে নতুন কোন টেকসই প্রস্তাবনা দিতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলন বংলাদেশ ২ জানুয়ারীর জাতীয় সম্মেলনে এ বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ ও টেকসই একটি রূপরেখা দেবে।’
এমএমএ/