ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাঁয়তারা করা হয়েছে- গাজী আতাউর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম করলেও শাসন কাঠামো, নীতি-পদ্ধতি পুরোনো উপনিবেশিক আমলেরই থেকে গেছে বরং সাংবিধানিকভাবে একক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাঁয়তারা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারাই এই মেরামতযোগ্য অকার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছে। ইতোপূর্বে ক্ষমতায় থাকা সবগুলো দলের প্রবণতা একই রকম ছিলো ও আছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই রাষ্ট্র মেরামত করার কথা বলে এসেছে। রাষ্ট্র মেরামতের বক্তব্যকে গণদাবিতে পরিণত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর দলের নামই রেখেছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। আজকে যখন রাষ্ট্র মেরামতের রুপরেখা নিয়ে অতীতে ক্ষমতার স্বাদ নেওয়া; বর্তমান বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে এবং তারা একটি ঘোষণা দিয়েছেন তখন আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করতে চাই এই রুপরেখা প্রস্তাবনা নিছকই রাজনৈতিক বক্তব্য না বরং দৃঢ় সদিচ্ছার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করিয়ে দিতে চায় যে, বাঙালী মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের মেরামতের প্রসঙ্গে নীতিমালা হিসেবে ইসলামকে ভিত্তি না ধরলে দেশ আবারো পথ হারাবে। ইসলাম এদেশের মানুষের হাজার বছরের আনন্দ-কান্না, আন্দোলন-সংগ্রামের প্রধান প্রেরণা। হাজার বছর ধরে ইসলাম এদেশের মানুষকে পথ দেখিয়েছে। সেই মানুষদের ভূখন্ডে গঠিত রাষ্ট্রের
মেরামতে ইসলামই একমাত্র সমাধান। একই সাথে খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রয়োজন হবে। কারণ অসৎ নেতৃত্ব যে কোন ভালো চিন্তা ও উদ্যোগকে সর্বনাশ করে দিতে পারে; যা বারবার প্রমাণিত।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরো বলেন, দেশে বিগত ৫২ বছরে কোন সরকারই একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বিরোধী দল রাষ্ট্র মেরামতের কথা বললেও নির্বাচন ব্যবস্থার বিষয়ে নতুন কোন টেকসই প্রস্তাবনা দিতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২ জানুয়ারীর জাতীয় সম্মেলনে এ বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ ও টেকসই একটি রূপরেখা দিবে।
দলের যুগ্ম মহসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলমের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম রুহুল আমীন, বরকত উল্লাহ লতিফ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, এ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান শেখ, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুফ্তী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।
/এএস