১০ তারিখের সমাবেশ নির্বিঘ্নে হতে দিন: পীর চরমোনাই
বহুদলীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ করা এমনকি ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা করা বাংলাদেশের সংবিধান মতেই বিধিসিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে পীর চরমোনাই বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে বিরোধীদলসমূহ সমাবেশ করবে, মিছিল করবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এবং সেসব সমাবেশে নিরাপত্তা দেওয়া, সমাবেশে উপস্থিত জনতার যাতায়াত সহজ করে দেওয়া যেকোনো সভ্য রাষ্ট্রের সরকারের মৌলিক দায়িত্বের অংশ।’
বাংলাদেশের মতো একটা দেশ যা কি না একটি জনযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই দেশে এসব অধিকার চর্চিত হবে বলেই জনতা আশা করে।
পীর চরমোনাই বলেন, ‘কিন্তু অতিব দুঃখের সঙ্গে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি গণপ্রজাতন্ত্রী স্বাধীন রাষ্ট্রের এসব মৌলিক অধিকারসমূহকে নির্মমভাবে হরণ করেই যাচ্ছে। তারা বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিরোধীদলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা একটি উত্তেজনাপূর্ণ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসে বিরোধীদের সমাবেশ করার মতো স্বাভাবিক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে ধরপাকড় করা হচ্ছে, যেভাবে হামলা-মামলা ও গুলি করে বিরোধী মতের নেতাকে হত্যা করা হচ্ছে তা অকল্পনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’
পীর চরমোনাই বলেন, ‘আমরা সরকারি দলকে আহ্বান করব, বিরোধীদের যেকোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহায়তা করুন। স্পষ্ট করে বললে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে বাধামুক্ত করতে যা যা করণীয় তাই করুন। আর বিরোধীদলকে আহ্বান করব, আপনাদের সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোর মতো ঢাকার সমাবেশকেও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর রাখতে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিন।’
নয়াপল্টনে যে ঘটনা ঘটেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা মনে করি এই ঘটনা দেশের স্বাধীন মর্যাদা ও নাগরিক অধিকারের প্রতি নির্মম সহিংসতা। যা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। এই
ধরনর বাড়াবাড়ি অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
এমএমএ/