শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘চরমোনাই মাদরাসা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ও সংখ্যালঘুদের আশ্রয়স্থল’

১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে চরমোনাই মরহুম পীর সাহেব মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ. ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. চরমোনাইতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি করতে যেমন সহযোগিতা করেছেন তেমনি চরমোনাইর হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের বাড়ি ও চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় দিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চরমোনাই মরহুম পীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ. ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রহ. দ্বয়ের ভুমিকা সম্পর্কে চরমোনাই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেছেন-ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।

পাঠকদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হলো চরমোনাই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, চরমোনাই মাদরাসা ছিল বরিশাল বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি। রাজাকার,আল বদর,আল শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে চরমোনাই পীর বা তা পরিবার পরিজনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। চরমোনাই পীর মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহযোগিতা করেছেন। চরমোনাইতে রাজাকারের ক্যাম্প থাকলে এ এলাকার কোনো হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানের জীবিত থাকার কথা ছিল না। সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ. পাকিস্তান সরকারের বশ্যতা স্বীকার করেননি বলে তৎকালীন সময়ে চরমোনাই মাদরাসা কামিল মাদরাসা হিসেবে উন্নীত করা হয়নি। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেন, চরমোনাই মরহুম পীর হিন্দুদেরকে চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় দিয়ে খাইয়েছেন। হিন্দুদের পক্ষ থেকে ধর্মান্তরিত হওয়ার আবেদন প্রসঙ্গে পীর হুজুর বলেছেন দেশে এখন একটি অরাজক পরিস্থিতি চলছে, এই পরিস্থিতিতে কারও ধর্মান্তরিত হওয়া সঠিক নয়। মরহুম পীর পরশ পাথরতুল্য মানুষ ছিলেন, ধর্মবর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি সহায়তা করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চরমোনাই ইউনিয়নের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবুয়াল হোসেন কাজী বলেন, চরমোনাই পীর সাহেব ও তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। এই প্রতিষ্ঠনকে বিতর্কিত করতে একটি চক্র চরমোনাই পীর সাহেবের বিরুদ্ধে সময়ে সময়ে মিথ্যা কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে চরমোনাই পীর সাহেব ও চরমোনাই মাদরাসা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভুমিকা রেখেছেন। সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহঃ পাকিস্তান সরকারের বশ্যতা স্বীকার করেন নি বলে তৎকালীন সময়ে চরমোনাই আলিয়া মাদরাসাকে কামিল মাদরাসা হিসেবে উন্নীত করা হয়নি। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনরা চরমোনাই পীর সাহেব ও চরমোনাই মাদরাসাকে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করতে পারেনি। মরহুম এছহাক রহ. মুক্তিযোদ্ধা,স্বাধীনতাকামী মানুষ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিলেন।

সাবেক সেনা অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ হাওলাদার (৮৩) বলেন, চরমোনাই মরহুম পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ এছহাক রহ, এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমরা ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষাৎকরে আমি তার দোয়া ও সহযোগিতা চাই। তখন হুজুর বলেন, তোমরা কামিয়াবী হবা ইনশাআল্লাহ, তবে একটু সময় লাগবে। আমাদের ১২৮ জন মুক্তিযোদ্ধার খাবারের জন্য হুজুরের কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি বলেন আমাদের অবস্থানকৃত জায়গায় খাবার পৌঁছে দেন। হযরত এছহাক রহ. প্রতিনিধির মাধ্যমে একাধিক ছাগল, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।

চরমানাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম খান (৭২) বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমি বিএ ক্লাসে পড়তাম। বুখাইনগরে আমাদের ঘাঁটি ছিল। আমরা চরমোনাই দরবারের সামনে থেকে চলাচল করেছি, কোনো সময়ে কোনো বাঁধার সম্মুখীন হইনি। রাজাকার, আল বদর, আল শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে চরমোনাই পীর বা তার পরিবার পরিজনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মকিম আলী খান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপলক্ষ করে চরমানাই পীর ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কেউ যদি কোনো বক্তব্য দেয় তবে বুঝতে হবে ঐ লোক মিথ্যুক, মানুষ না,অমানুষ। চরমোনাই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ জানেন চরমোনাই পীর দ্বয় কেমন ছিলেন। চরমোনাই মাদরাসা ছিল বরিশাল বিভাগের মুক্তিযদ্ধের ঘাঁটি। চরমোনাই পীর সাহেবদ্বয় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকলে স্বয়ং আমরাও বাঁচতাম না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহার আলী খাঁন (৭৮) বলেন, ১৯৭১ এর ১২ মে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। পথে ৪ যায়গায় পাক বাহিনী আমাকে আটক করে। পাক বাহিনী চরমোনাই সংলগ্ন এলাকায় বোর্ড রেখে এসে হুজুরের কাছে জানতে চান-এখানে কি কোনো হিন্দু আছে? জবাবে এছহাক রহ. বলেন, এই এলাকায় ৩৬০ জন হিন্দু আছে। তারা কেউ কারও ক্ষতি করে না। তাদের ধর্ম তারা পালন করে। আমাদের ধর্ম আমরা পালন করি। এখানে (চরমোনাইতে) বছরে ২টি সভা (ওয়াজ মাহফিল) হয়। হিন্দুরা এসে লাইন দিয়ে আমাদের আলোচনা শুনে। তারা (হিন্দুরা) কারও কোনো ক্ষতি করে না, একথা শুনে পাক বাহিনী হুজুরকে সালাম দিয়ে চলে যায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ হোসেন শিকদার বলেন, চরমোনাই পীর সাহেব হুজুর ও তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নয়, সব সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহযোগিতা করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম গাজী (৭২) বলেন, ১৯৭১ এ দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনের পরে দেশে যত রাজনৈতিক সংকট হয়েছে চরমোনাইতে তার কিছুই হয়নি। চরমোনাই পীর সাহেব হুজুর মুক্তিযোদ্ধাদেও অবস্থানের জন্য মাদরাসার একটি টিনের ঘরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। আমাদের ২৭০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে টিনের ঘরে আশ্রয় দিয়ে খাবার খাইয়েছেন এবং আমাদের বাড়ির ৩৫০ এর অধিক মানুষের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন। চরমোনাইতে রাজাকারের ক্যাম্প থাকলে এ এলাকার কোন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানের জীবিত থাকার কথা ছিল না।

শিক্ষক বাবু জীবন চন্দ্র মণ্ডল (৭০) বলেন, চরমোনাই পীরেরে সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা ছিল। ছোট সময় থেকে আমরা পীরের দরবারে যাতায়াত করতাম। চরমোনাই হুজুর আমাদেরকে আদর করতেন এবং ভালো জানতেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন আনুমানিক সেপ্টেম্বর মাসে নীলকান্ত ঘোষ এবং মাখম লাল ঘোষ আমার বাবার কাছে আমাদের বাড়িতে যান। বাবাকে ওরা বললো-ওপার থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক আসছে। তারা চরমোনাই পীর সাহেবের বাড়িতে গিয়ে মুসলমান হবে। (রায়পুরের সালাম খাঁ নামের লোকটি হিন্দুদেরকে উত্তক্ত করতো।) এরা যাবার কিছু সময় পরেই ওপার থেকে মাখন লাল হালদার, অবিনাশ তালুকদার, ডা. গনেশ চন্দ্র, মতি ঘোষ, মলি ঘোষ এই লোকগুলো গোপনে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা আমার বাবাকে বলেছে আমরা মুসলমান হবার জন্য পীরের বাড়িতে যাচ্ছি। আপনারাও আসেন।

তখন আমার বাবা তাদেরকে বলেছেন, প্রয়োজন হলে পীর আমাদেরকে ডাকবেন। তারা পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলে যাবার সময়ে আবার আমাদের বাড়িতে আসেন। তখন আমার বাবা হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐ লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন পীর তাদেরকে কী বলেছেন? জবাবে তারা বাবাকে জানান, চরমোনাই পীর বলেছেন, দেশে এখন একটি অরাজক পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে কারও ধর্মান্তরিত হওয়া সঠিক নয়। দেশ একটি শান্ত পরিস্থিতিতে আসুক। তখন ভালোবেসে আপনারা ইসলাম গ্রহণ করতে চাইলে আপনাদেরকে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত করা হবে। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা কেউই মুসলমান ধর্মে দিক্ষিত হননি। মাখন লাল বিশ্বাস (৬৬) বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমি এলাকা চষে বেড়াতাম। চরমোনাই পীর পরশ পাথরতুল্য মানুষ ছিলেন। চরমোনাই পীর ও তার পরিবার ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। চরমোনাই পীর ও তার পরিবার বটবৃক্ষের ন্যায় সকল মানুষকে ছায়া দিয়ে আসছেন।

চরমোনাই ইউনিয়ন ৫নং রাজার চর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু অমল সরকার (৬৬) বলেন, আমার বাবা-কাকারা লোকমুখে শুনেছেন যে, চরমোনাই পীর হুজুরের কাছে গিয়ে মুসলমান হলে তাদেরকে মারবে না। বাবা-কাকারা অনেকে পীর হুজুরের কাছে গিয়ে বলেছেন যে, আমরা শুনেছি আপনার কাছে এসে মুসলমান হলে নাকি পাকিস্তানিরা মারবে না। জবাবে পীর সাহেব হুজুর বলেছেন, এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হুজুর বলেছেন, যদি আপনারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেই চান তবে স্বাধীনতার পরে আসবেন, এখন না।

বাবু নিমাই চন্দ্র ঘোষ বলেন, ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমি ৮ম শ্রেণির ছাত্র। তখন আমার বয়স ১৪ কি ১৫ বছর। পীর আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমাদের কিছু লোককে রাজাকাররা নৌকায় তুলে নিয়ে গেছিল। তখন পীরের জোরালো ভূমিকার কারণে ঐ লোকদেরকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক লোক পীরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। চরমোনাইতে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খোলামেলা চলাফেরা করেছি। আমাদের লোকদের উপর কোনো অত্যাচার হয়নি। রায়পুরা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ চরমোনাই মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। আমাদের সম্প্রদায়ের মেয়ে-ছেলেরাও পীরের বাড়িতে নিয়ম মেনে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

কালু মালাকার বলেন, চরমোনাই পীর হিন্দুদেরকে চরমোনাই মাদরাসায় রেখে খাইয়েছেন। কেউ যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কারও কোনো ক্ষতি না করে সে বিষয়ে সকলকে বলেছেন। হিন্দুরা মাদরাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ মুসলমান হতে চাইলে পীর বলেছেন, বিপদের সময়ে কাউকে মুসলমান বানানো যাবে না। ইচ্ছা করে যদি কেউ মুসলমান হয়, তবে হোক।

এমএমএ/

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা