ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকার একদিকে থানায় থানায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করছেন, অপরদিকে ১ম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা পাবলিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে জাতির সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলামবিদ্বেষীদের নীলনকশা বাস্তবায়নে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। আপনি মসজিদ বানাচ্ছেন, এই মসজিদে নামাজ কারা পড়বে? যদি ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকে। সরকার সকল উন্নয়ন,শরিয়াহ বিরোধী আইন পাশ না করার ঘোষণা চরম ধোঁকায় পরিণত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত পাবলিক পরীক্ষায় ধর্ম শিক্ষা পূর্বের ন্যায় বহাল, শিক্ষা সিলেবাস ঈমান-আকিদা বিধ্বংসী অবৈজ্ঞানিক ডারউইনের বিবর্তনবাদ বাতিল এবং শিক্ষার সবস্তরে ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি পেশ পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘আমাদের সন্তানদেরকে নাস্তিক ও ধর্মহীন বানাতে দিতে পারি না। দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে আজানের সুরে মানুষের ঘুম ভাঙ্গে, আজানের আওয়াজে ছেলে মেয়েরা ঘরে ফিরে যায়। এদেশে ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। দেশে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত চলছে।’
ডারইউনের বিবর্তনবাদ সম্পূর্ণ নাস্তিক্যবাদী মতবাদ, এ শিক্ষা কোনভাবেই মুসলমানের দেশে চলতে পারে না। মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদ সত্বেও সরকার নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে এদেশের ধর্মপ্রাণ জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করবে, যোগ করেন তিনি।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল গণমিছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওয়ানা দিয়ে পল্টন মোড়, জিরোপয়েন্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় দিকে গেলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে বাধা দেয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নেতাদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়।
পরে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষাসচিব, এর হাতে হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও কেএম আতিকুর রহমান।
দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ষক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জমায়েতে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, শ্রমিক নেতা এইচ এম ছিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, শহিদুল ইসলাম কবির, মাওলানা আরফিুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/