‘১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিল’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ইসলামবিরোধী ও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামী শিক্ষা বিনাশের চক্রান্তে মেতে উঠেছে। কৌশলে নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস বাস্তবায়নে সরকার মরিয়া হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রমের প্রাইমারিস্তর থেকে সর্বোচ্চ মাস্টার্স পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বকীয়তা ও স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার স্বার্থে দাখিল পর্যায়ে আগের মতো ৫০০ নম্বরের আরবি শিক্ষা বহাল রাখতে হব। ইসলাম শিক্ষা পাঠ্যবইয়ের নাম ‘মূল্যবোধ ও নৈতিকতা’ কিংবা অন্য কিছু নয়, ‘ইসলাম শিক্ষা’ই রাখতে হবে। অন্যান্য ধর্মশিক্ষার ক্ষেত্রেও স্ব-স্ব ধর্মের নামে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জাতীয় শিক্ষাক্রমে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে আগামী ১০ নভেম্বর সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল সফলের জন্য সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, চলতি এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রণীত প্রশ্নপত্র ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। যা রীতিমতো ধর্মীয় উসকানির শামিল।
এ ধরনের বিদ্বেষ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সভায় ১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিল সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমীন, উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম আলআমিন, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি