‘মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে’
স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতিবঞ্চিত থাকা দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। মানববন্ধনে দলটির পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি করা হয়।
বুধবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধনে এসব কথা জানান ইসলামী মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্ম পরিষদের নেতারা।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি দান, শিক্ষার সব ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ, ডাল-চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং দুর্নীতিবাজ ও দেশের সম্পদ লুটপাটকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো ৮ দফা দাবি হলো:
১. যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এখনো স্বীকৃতি বঞ্চিত রয়েছেন তাদের ১৬ ডিসেম্বর ২২ এর মধ্যে স্বীকৃতি দিতে হবে।
২. ভিন্ন দেশ ও ধর্মের শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রবর্তনের চক্রান্ত বাতিল করে চক্রান্তকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. নৈতিকতা সম্পন্ন অপরাধমুক্ত আদর্শ দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার সব ক্ষেত্রে মুসলিম ছাত্রদের জন্য ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪. ভোজ্যতেল, চিনি-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি রোধ করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।
৫. দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটকারী ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরা এবং কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
৬. শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৭. গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও চুরি বন্ধ করে আবাসিক গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৮. রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে প্রবাসীদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।
এ ছাড়া শিক্ষার সব ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ ২০ দফা দাবিতে আগামী ১০ নভেম্বর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করা হয় দলের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতি বিনষ্টের চক্রান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জমিয়তুল মুদাররেসিন ঘোষিত ১৩ দফা দাবিতে ১৪ নভেম্বর জেলা পর্যায়ে ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।
এসএন