সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থপাচারের কারণে দেশে আজ সংকট
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনই দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচারের কারণে দেশ আজ এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। ফলে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। আর এখন বিদ্যুৎ ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান সরকার প্রধানের, যোগ করেন তিনি।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের ভেল্কিবাজি দেখিয়ে সরকার এখন সারাদেশে দিনে ১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এখন দেশের জ্বালানি নিয়ে শঙ্কিত।’
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখা আয়োজিত কর্মী তারবিয়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারবিয়াতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান। ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব মো. শাহাদাত হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী তারবিয়াতে আলোচনা পেশ করেন দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ঢাকা জেলা সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আলী মোস্তফা, আলহাজ্ব হাফেজ জয়নুল আবেদীন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ হানিফ মেম্বার, মাওলানা বিল্লাল হোসাইন, টিএম মাহফুজ, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান প্রমুখ।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ফলে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরাও এখন শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের লুটপাট, দুর্নীতি আর অপরিণামদর্শিতা আজকে গোটা দেশের অর্থনীতিকে এক অন্ধকার পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর দায় সম্পূর্ণভাবে এই সরকারকেই নিতে হবে। বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার অনেক মিল আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে দেশে তীব্র গণরোষ সৃষ্টি হয়ে অবস্থা শ্রীলঙ্কার চয়েও ভয়াবহ হতে পারে।’
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশকে মহাসংকট থেকে উদ্ধার করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, কর্মীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যেক কর্মীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কাজ না করলে কর্মী থাকার যৌক্তিকতা নেই। যারা কাজ করে তারাই সংগঠনের কর্মী।
এজন্য যোগ্য দক্ষ ও আদর্শবান হতে হবে। যুগ চাহিদার মোকাবেলায় নিজকে সবদিক থেকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি মুমিন হয়ে কাজ করতে পারি তাহলে বিজয় আমাদেরই হবে, এটা আল্লাহর ঘোষণা।
এমএমএ/