রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা বাসায় গিয়ে তাকে দেখে এসেছেন এবং তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, "সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।"

দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, "লন্ডনের চিকিৎসকরা যখন মনে করবেন তিনি ভ্রমণের উপযুক্ত, তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।"

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি থাকার পর ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে। আজ রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এ রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি কঠোর বার্তা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের যে ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হলো। তিনি আরও বলেন, “আজকের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে এই বার্তা গেল যে, আপনি যত শক্তিশালীই হন না কেন, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই।”

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় এবং ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর পুনরায় শুনানি শুরু হয়। আজ ১৬ মার্চ হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, আবরার ফাহাদের মৃত্যু প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছে যে, “ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে।”

Header Ad
Header Ad

কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত সরকার নতুন সংশোধনী অনুযায়ী প্রায় ৪২ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, যা দেশটির জন্য নীতিগতভাবে বড় পরিবর্তন। ডিসেম্বরে পাশ করা সংশোধনী অনুযায়ী, নৈতিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকি, বা আমির ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার কারণে নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে।

৮৪ বছর বয়সী আমির মিলাশ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবহ-এর শাসনামলে কুয়েতে গণতন্ত্রকে সীমিত করে কর্তৃত্ববাদী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি গত বছরের মে মাসে সংসদ স্থগিত করেন এবং সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেন। তার মতে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা কুয়েতকে পঙ্গু করে রেখেছে।

নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে বাতিলকৃত নাগরিকদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ৬ মার্চ একদিনেই ৪৬৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে অবৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অভিযোগে এবং ৪৫১ জনকে জালিয়াতি ও প্রতারণার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

কুয়েত দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না। তাই নাগরিকত্ব অর্জনকারীদের তাদের আগের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। এতে বিশেষ করে কুয়েতি নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়া নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা এখন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে রাষ্ট্রবিহীন অবস্থায় পড়েছেন।

কুয়েতি গবেষক ক্লেয়ার বেউগ্রা বলেন, "এই পদক্ষেপগুলোর গতি এবং আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কুয়েতের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। সরকার এলোমেলোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।"

সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে।

কুয়েতে এমন একাধিক নাগরিকত্বহীন জনগোষ্ঠী রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘বিডুন’ সম্প্রদায়। তারা বেশিরভাগই যাযাবর গোত্রের বংশধর, যারা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা কুয়েতি নাগরিক। তারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকারের বাইরে রয়ে গেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কুয়েতি নাগরিকই ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, কারণ নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি তাদের জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে এই তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এই মৃদু তাপদাহ কয়েক দিন ধরে চলতে পারে। তবে সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত বছর ছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। ২০২৪ সালের এপ্রিলে তাপমাত্রা ছিল ৭৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেই সময়ে এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা ৩৫ দিন তাপপ্রবাহ চলেছিল। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এবছরও তাপমাত্রার এমন চোখরাঙানি থাকতে পারে।

তবে এবছরের এপ্রিল ও মে মাসে মেঘ সৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা বেশি থাকতে পারে এবং কালবৈশাখীর সংখ্যাও বাড়তে পারে। এতে টানা দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ না থাকার সম্ভাবনা থাকলেও গরমের অনুভূতি আগের চেয়ে বেশি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা অনুযায়ী, এবার শীতের মৌসুমেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি, আর ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শীতকালে বৃষ্টিও হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। মাসের শেষ দিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, “তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকবে। শীতের মাসগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা এবার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে গরম অনেকটাই বেশি পড়বে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা
দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন অস্কারজয়ী শিল্পী এ.আর.রহমান
৬ হাজার কোটির লিগ আনছে সৌদি, চ্যালেঞ্জের মুখে আইপিএল
৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা
ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ, রংপুরের সেই উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার
আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব
বই ছাপার কাজ শেষ, আজ রাতেই শুরু হবে বিতরণ  
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
কার জন্য 'সতর্কবার্তা' দিলেন পরীমণি
ঈদে বাড়ি ফিরতে ২৬শে মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলবে আজ  
৬৬ দিনে ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা পান্নুর, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ  
ঈদের পরই দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া  
জামালপুরে ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক  
টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের লজ্জার রেকর্ড    
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র