ছাত্রদলের সংগ্রাম বাদ দিলে ইতিহাস যাবে ডাস্টবিনে: ছাত্রদল সভাপতি
ছাত্রদলের সংগ্রাম বাদ দিলে ইতিহাস যাবে ডাস্টবিনে : ছাত্রদল সভাপতি। ছবি: সংগৃহীত
১৫ বছরের ছাত্রদলের ত্যাগ, শ্রম ও সংগ্রামকে অস্বীকার করে কোনো ইতিহাস রচনা করা হলে তা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। একইসঙ্গে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে শহীদ মিনারে পৌঁছান নেতাকর্মীরা। মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
রাকিব বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক এবং ঐক্যবদ্ধ আছি। যারা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে কুক্ষিগত করতে চায়, তারা যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। আমি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই, আপনারা এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না, যার দ্বারা ঐক্য নষ্ট হয়।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের একজন নেতাকর্মীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য সামান্যতম সদিচ্ছা পোষণ করছে না। সরকার ভেবেছে, ছাত্রলীগকে শুধু দায়সারা নিষিদ্ধ করলে তাদের অপকর্ম ঢাকা পড়ে যাবে।
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু খুনি হাসিনার মতো ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, তাই এখানে আর কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির বাস্তবতা নেই। তারপর যদি কোনো রাজনৈতিক দল আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে লিপ্ত থাকে, আমরা ধরে নেব, তারা আবারও ৭১ সালের মতো কোনো ষড়যন্ত্র করছে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, সে খুনি সংগঠন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখলাম এখনো কোনো ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অন্তর্বর্তী সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেনি। শুধুমাত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়, প্রত্যেকটি জেলায় ছাত্রদলের যেসব শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে, তারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। যেসব আওয়ামী লীগের দোসররা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাই।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। যারা হাসিনাকে সাহায্য করেছে, তারা থেকে গেলে জুলাই-আগস্টের স্পিরিট বিনষ্ট হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।