চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব: বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব বলে মনে করে বিএনপি।মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভা মনে করে যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে সেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কারণ নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্ন ওঠে না। ২০২৫ সালের জুলাই মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। সভা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আসার আহ্বান জানায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই আইন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে প্রধান করে প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অবিলম্বে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি অন্যদিকে ভ্যাট ও অন্যান্য করের হার বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি অবিলম্বে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন।’
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।