শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আবু নাসের মারা গেছেন

আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির বিশেষ সম্পাদক এবং গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের বাড়ির মালিক আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

শায়রুল জানান, বাসায় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। আবু নাসের মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক তাকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে সুপরিচিত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াহিয়া নিজ এলাকায়ও বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত সমাদৃত।

তিনি বলেন, নিজ এলাকায় বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে তিনি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। তার মতো আদর্শনিষ্ঠ ও নীতিবান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।

শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমাবেদনা জানান তারেক রহমান।

আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার মৃত্যুতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শোক জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

‌‌‘লিভ টুগেদার’ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, স্বাগতাকে ফের আইনি নোটিশ

অভিনেত্রী ও গায়িকা জিনাত সানু স্বাগতা। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি অভিনেত্রী ও গায়িকা জিনাত সানু স্বাগতার একটি বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়ায়। নেতিবাচক এমন মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। তবে তার এমন মন্তব্য কখনোই সমাজের জন্য সঠিক নয়। একই সঙ্গে ইসলাম পরিপন্থী কাজ (লিভ টুগেদার) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন এবং সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এ কারণে ক্ষমা চাইতে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে স্বাগতার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও আইনি নোটিশের কোনো জবাব তিনি দেননি। ফলে ক্ষমা চাইতে আবারও স্বাগতাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এবার অভিনেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’।

যদিও প্রথমবার আইনি নোটিশ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে স্বাগতা বলেন, আমি কাউকে লিভ টুগেদারে উৎসাহ দিইনি। এটা যার যার ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের ব্যাপার। আমার আগেও অনেকে লিভ টুগেদার করেছেন। আমার কথায় কেউ উৎসাহী হয়ে লিভ টুগেদার করবে বলে আমি মনে করি না।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মাধ্যমে সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক এ নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিভ টুগেদারবিষয়ক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইনি নোটিশের বিষয়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, স্বাগতার বক্তব্যে বাংলাদেশের চিরায়ত সমাজব্যবস্থা ভাঙনের ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি আমরা। তার বক্তব্যটি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধগত সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী, যা একটি সামাজিক অপরাধ। ডিভোর্স নরমালাইজ হওয়া কোনো ভালো ব্যাপার নয়। আর লিভ টুগেদার বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কাজেই, দেশের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের কেউ ভাঙতে চাইলে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’সেটা মেনে নেবে না। আমরা স্বাগতাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। না হলে, আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর আরিফুল খবির নামে এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাগতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে প্রথম আইনি নোটিশটি পাঠান।

Header Ad
Header Ad

এবার কোহলিকে আউট না দিয়ে সমালোচনায় সৈকত

ছবি: সংগৃহীত

মেলবোর্নের পর সিডনি টেস্টেও আলোচনায় বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এবার সিডনিতে তিনি অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে আছেন। শুক্রবার সিডনিতে শুরু হয়েছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচ।

ম্যাচের অষ্টম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন বিরাট কোহলি। ভারতের স্কোর তখন ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সাওয়াল এবং লোকেশ রাহুল আউট হয়ে ততক্ষণে সাজঘরে। এমন পরিস্থিতিতে কোহলিকে হারালে সমস্যা আরও বাড়তে পারতো ভারতের।

কোহলির খেলা ইনিংসের প্রথম বলটি করেন স্কট বোল্যান্ড। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বলে খোঁচা দেন কোহলি। বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভেন স্মিথের হাতে। তিনি ক্যাচ ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পুরো অস্ট্রেলিয়া দলও উদযাপন শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে। যেন তারা অনেকটাই নিশ্চিত যে এটা আউট।

কিন্তু মাঠের আম্পায়ার সৈকত নিশ্চিত ছিলেন না ক্যাচ ঠিকভাবে নেওয়ার ব্যাপারে। তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। সেই দায়িত্বে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন। তিনি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বার বার রিপ্লে দেখেন। সেখানে দেখা যায় স্মিথ ক্যাচ নিলেও বল মাটিতে ছুঁয়ে ছিল। যে কারণে নট আউটের সিদ্ধান্ত জানান উইলসন।

মধ্যাহ্ন বিরতিতে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার আগে স্মিথ ব্রডকাস্টারকে বলছিলেন, ‘১০০ ভাগ নিশ্চিত ওটা ক্যাচ ছিল। অস্বীকার করার সুযোগই নেই। একশ ভাগ ছিল, কিন্তু সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারেরই।’ অবশ্য শূন্য রানে জীবন পাওয়া কোহলি ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আজও। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৬৯ বলে ১৭ রান করে ওই বোল্যান্ডের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত টেস্টে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জয়সওয়ালকে আউট দেওয়ার ‘সাহস ‘ সিদ্ধান্ত শিরোনামে এনে দিয়েছিল বাংলাদেশের এই আম্পায়ারকে। স্নিকো মিটারের তথ্য নাকচ করে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তিনি। সেদিন তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। মাঠের আম্পায়ার ছিলেন উইলসন। সিডনিতে ভূমিকা পাল্টে গেছে। তবে দু’ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আম্পায়াররা।

Header Ad
Header Ad

তাবলিগের দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ছবি: সংগৃহীত

তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাবলিগের কাজ পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপরোক্ত বিষয় ও সূত্রের স্মারকসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীগণ এখন থেকে যার যার তাবলিগি মারকাজে অবস্থান করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রেখে নিজ নিজ তাবলিগি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন। এক পক্ষ অন্য পক্ষের মারকাজে কোনো ধরনের বাধা প্রদান বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে সূত্রের ‘ক’ ও ‘খ’ নম্বর স্মারকের মাধ্যমে ইতিপূর্বে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। উল্লেখিত নির্দেশনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিপূর্বক যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‌‌‘লিভ টুগেদার’ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, স্বাগতাকে ফের আইনি নোটিশ
এবার কোহলিকে আউট না দিয়ে সমালোচনায় সৈকত
তাবলিগের দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
ব্যালন ডি'অর নিয়ে রোনালদোর মক্তব্য, ক্ষেপে গেলেন রদ্রি
সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি ও চালের বাজার
মুন্সীগঞ্জে বিয়েতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে সাজা পেলেন যুবক
যুক্তরাষ্ট্রে ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২ (ভিডিও)
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
চীনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস, নেই কোনো টিকা
খতমে নবুয়াতের মহাসম্মেলন আজ, প্রধান অতিথি আল-আকসার ইমাম
বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০
মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং