রিজভীর বক্তব্য ঘিরে জামায়াত-বিএনপির পাল্টাপাল্টি বিবৃতি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এবার ওই বিবৃতির পাল্টা জবাব দিয়েছে বিএনপি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতির পাল্টা জবাব দেয় দলটি।
এর আগে রোববার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তীব্র মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘খুব ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান। আপনাদের একাত্তরের অর্জন কী? আপনারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছেন। ৭১ ও ৯০-এর গৌরব বিএনপির। সেদিনও শেখ হাসিনার সঙ্গে আঁতাত করে এরশাদের কুলাঙ্গারের নির্বাচনে যাননি? ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করেন। ইসলাম মানেতো মোনাফেকি করা না।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরও বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে যারা লুট করেছে, সেই এস আলমদের উত্তরসূরী হয়ে ব্যাংক দখল করেছে অনেকে। বড় বড় কথা বলে বিএনপির নামে কলঙ্ক লেপন করছে। পাড়া-মহল্লায় টার্মিনাল দখল, টেন্ডারবাজিসহ নানা কিছু দখলে করেছে একটি দল।’
রিজভীর এই মন্তব্য ঘিরে রোববার নীলফামারীর সৈয়দপুরে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি জামায়াতে ইসলামী, ডাকাতের বেশে নতুন ডাকাতরা ৫ আগস্টের পর ব্যাংক দখল করতে গিয়েছিল। তারা পালিয়ে এসেছে। জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।’
এরপর রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে ওই রাতেই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে রিজভীর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিজভী অবশ্যই অবগত আছেন ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটকে এড়িয়ে ভিন্ন মতের লোকদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে ঐক্য করা হয়েছিল তা কী জাতির সঙ্গে মোনাফেকি নয়? জনগণ এই রাজনৈতিক ছন্দ পতনের ইতিহাস ভুলে যায়নি।’
জামায়াতে ইসলামীর ওই বিবৃতির পাল্টা জবাব দিয়েছে বিএনপি। রোববার রাতে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি যুক্ত করে বলা হয়, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত দর কষাকষি করে ২২ আসন বাগিয়ে নেয় জোট থেকে। সেই নির্বাচনে ডা. শফিকুর রহমান (জামায়াত আমির) নিজেও ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাহলে কার সঙ্গে জোট? আর কার সঙ্গে মোনাফেকির কথা বললেন আমীর?’