বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৫ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি অন‍্যতম সদস‍্য ও আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিক এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রাক্তন সিনেটর প্রার্থী গিয়াস আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জ থেকে হাজারো জনতা এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

এসময় জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছেন গিয়াস আহমেদ। তিনি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১/১১ এর বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার মূলচেতনা ধ্বংসকারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছেন। আজ মুক্ত দেশে তিনি ফিরেছেন এটি ভালো লাগার বিষয়। বিমানবন্দরে গিয়াস আহমেদ সকলকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও মুনাজাত শেষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নেন।

গিয়াস আহমেদ দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা এবং উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি বিদেশে থেকে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা বিরোধী ফ‍্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এবং জনগণ ঐক‍্যবদ্ধ ছিল বলেই এই বিপ্লব সফল হয়েছে।

গিয়াস আহমেদ বলেন, দেশ ও দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার কারণে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার সরকার তার ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পরে তিনি দেশে আসা বন্ধ করে দেন। আজকে ভোট চোর ও টাকা লুটেরা সরকার ও শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। শেখ হাসিনা যখনই আমেরিকা গিয়েছে তখনই বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত সব জায়গায় তার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করেছি। এই কারণেই শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে আমার নামে বিমানবন্দরে নিষেধাজ্ঞা দেন। আমি যাতে বাংলাদেশে না আসতে পারি। শুধু তাই নয়, আমার বড় ভাইয়ের নামে ও অন্যদের নামে মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে রেখেছিল। মিথ্যা মামলা দিয়ে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছে। এছাড়াও লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে। আমি বলবো- আওয়ামী স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়েছে। যতদিন না তাদের বিচার হবে ততদিন পর্যন্ত দেশের মাটিতে তাদের ঠাঁই হবে না।

Header Ad
Header Ad

ফোনে ‘আপা আপা’ বলা সেই জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের চাপে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বেশ কিছু কথোপকথন ফাঁস হয়ে যায়, যা নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ফাঁস হওয়া ফোনালাপগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ ফোনালাপ ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ওই ফোনালাপে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবিরকে শেখ হাসিনাকে বারবার ‘আপা আপা’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীর কবিরকে একটি মামলায় হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেননি। এ ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন এই নেতা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৬ সালের এক চাঁদাবাজির মামলায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট আসেন জাহাঙ্গীর কবির। এ মামলায় তিনি ১ নম্বর আসামি।

জাহাঙ্গীর কবির বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত ১৪ আগস্ট ভোরে বরগুনায় নিজ বাসভবন আমতলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের দিন বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের ফোনে কথোপকথন ভাইরাল হওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ৯ অক্টোবর আদালতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন। মো. জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি ঘাবড়াবেন না। (মনোবল হারাবেন না)। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কীভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।

এদিকে জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তিনি বরগুনা জেলহাজতে রয়েছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এ আসামি আইনের ৬০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টে জামিন চেয়েছিলেন। তা যথাযথ না হওয়ায় তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

Header Ad
Header Ad

পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান

হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তত ৫৪টি বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট আবেদন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন।

রায়ে গণভোট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেওয়া বিধান অবৈধ ও বাতিল করেন হাইকোর্ট। বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেন, সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ আবেদনকারীর আইনজীবী ড. শরীফ ভুঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার বিধান বাতিল হলো; সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ এবং সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ক এবং ৭খ বাতিল হলো, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের বিধান নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষমতা কমানো বিষয়ক ৪৪ (২) বাতিল করা হলো। এছাড়া ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান বাতিল করাকে বাতিল করা হয়েছে। ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে আজ রায়ে গণভোটের বিধান ফিরে আসছে।

তিনি বলেন, ৭ক এবং খ , ৪৪ (২) ও ১৪২ অনুচ্ছেদ বিষয় আজকের রায়ের ফলে বাস্তবায়িত হলো। তবে সংসদের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো— সেটার প্রতিবন্ধকতা আজকে পার হলাম। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে যে রায় (তত্ত্ববধায়ক অবৈধ) সেটার পুনর্বিবেচনা পরে হতে হবে ব্যবস্থাটা ফিরে আসার জন্য। সেটা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শুনানি হবে। যদি রিভিউ আমাদের পক্ষে আসে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরবে।

যেসব বিষয় বাতিল করা হলো:

১. সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ সংক্রান্ত ৭ক অনুচ্ছেদে (১) বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক পন্থায়-

(ক) এ সংবিধান বা ইহার কোনো অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে; কিংবা (খ) এ সংবিধান বা ইহার কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে— এ কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।

(২) কোনো ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত— (ক) কোনো কার্য করিতে সহযোগিতা বা উসকানি প্রদান করিলে; কিংবা (খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করিলে— এইরূপ কার্যও একই অপরাধ হইবে।

(৩) এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ ‘খ’তে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সব অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলি সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলি সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।

২. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত ৪৪ (২) এ বলা হয়েছে, এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটাইয়া সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওই সকল বা উহার যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করিতে পারিবেন।

৩. তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত ৫৮ক অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত এবং ক পরিচ্ছেদ এ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত।

৪. সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংক্রান্ত গণভোটের বিধান বাতিল সংক্রান্ত ১৪২ এর অনুচ্ছেদ। আদালত বলেছেন, গণভোট সংক্রান্ত ১২তম সংশোধনী এখানে বহাল হবে।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর পৃথক রিটে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পরে এ রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা। তাদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও রিট করেন।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষক বাকি ১৯ জন কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তাকে আজ অনুষ্ঠিত ২৬৫তম সিন্ডিকেটে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নাম-পদবি জানানো হয়নি। ঠিক কী কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়েও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফোনে ‘আপা আপা’ বলা সেই জাহাঙ্গীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ে বাতিল হলো যেসব বিধান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল জনগণের আরেক বিজয়: জামায়াত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০
অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল
চীনে ১০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই অবস্থানের সুযোগ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ
জনসমর্থনের কারণে বিএনপি অনেকের হিংসার কারণ: তারেক রহমান
পূর্বাচলের লেক থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব
টাঙ্গাইলে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ বহিষ্কার
শেখ হাসিনার সেই পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় ৬২৬ কোটি টাকা
আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় মিডিয়া: উপদেষ্টা নাহিদ
ডিবি হারুন ও তার স্ত্রী-ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের ৩ মামলা
বিরামপুরে নূরানী কোরআন একাডেমির অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ
স্বাধীন রাষ্ট্রে গুম ও আয়নাঘরের অস্তিত্ব লজ্জাজনক: ধর্ম উপদেষ্টা
দোয়া করবেন ভাই, বোবা হয়ে আছি: পলক
নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব
হাসিনা, রেহানা, টিউলিপ ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত