নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ দেশের মালিকানা ফিরে পাবে: আমীর খসরু
গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন- মালিকানা ফিরে পেতে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে নির্বাচন। যত কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে, জনগণ তত তাড়াতাড়ি দেশের মালিকানা ফিরে পাবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।
তিনি বলেন- বাংলাদেশ যদি গণতান্ত্রিক ধারায় উত্তরণ ঘটাতে চায় তাহলে সব কিছুর আগে দরকার নির্বাচন। গত ১৫ বছর যে খুন, গুম, বাড়ি পোড়ানো হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে; তার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করেছে বাংলার জনগণ। দেশের মালিকানা ফিরে পাওয়ার জন্য জনগণ সব করেছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে নাট মন্দিরে পূজা দেখতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক ধারায় গণতান্ত্রিক অর্ডারে উত্তরণ ঘটাতে হয়, যার জন্য বাংলাদেশের মানুষ গত ১৭ বছর ধরে যুদ্ধ করেছে। প্রাণ দিয়েছে, প্রাণহানি হয়েছে, ঘুম হয়েছে, বাড়িঘর হারিয়েছে, চাকরি হারিয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়েছে কী হারায়নি। বাংলাদেশটাকে যেভাবে লুটপাট করা হয়েছে এর বিরুদ্ধে তো যুদ্ধের কারণ ছিল বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়া।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দারিদ্র্যসীমার নিচে অনেক বেশি লোকজন হয়ে গেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তাদের জীবনযাত্রার মান আজকে নেমে গেছে অনেক। যা অব্যাহত আছে। সেই ধারাকে পরিবর্তন আনতে হবে। সবাই মিলে কাজ করতে হবে। দেশটাকে গড়তে হলে সবার সহযোগিতা দরকার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, এ দাবি শুধু বিএনপির নয়, জাতীয় ঐকমত্য আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নাই।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতাকর্মীদের নিয়ে কুমুদনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে সেখানে কুমুদিনী হাসপাতালে পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম তাদের স্বাগত জানান।
কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে ভারতেশ্বরী হোমসের গেট হয়ে বজরা নৌকায় লৌহজং নদী পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার মণ্ডপে যান। সেখানে রণদার পৌত্র কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা তাদের স্বাগত জানান।
রাজীব প্রসাদ সাহার হাতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা তুলে দেন তিনি।
এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ সোহরাব, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।