শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচি

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল জানান, যৌথসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ জুন (শনিবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি। ওইদিন বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই (সোমবার) একই দাবিতে সারাদেশের সব মহানগরে সমাবেশ পালন করবে দলটি।

এছাড়াও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ৩ জুলাই (বুধবার) দেশের সব জেলা সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, যেকোনো সময় জীবনহানিও হতে পারে। এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনও আপস করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন। কারাগারে খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করে ও সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে অসুস্থ করে দেয়া হয়। পরে আন্তর্জাতিক চাপে তাকে কারাগারের বাইরে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে সরকার। খালেদা জিয়া যদি সামনে আসতে পারেন তাহলে এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিলো। সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে না পারলে তিনি এই অবস্থায়ও আসতে পারতেন না। চিকিৎসকেরা বারবার বলেছেন তাকে উন্নত জায়গায় চিকিৎসা দেয়া উচিত। তবে তা দিচ্ছে না সরকার। সরকার পরিকল্পিতভাবে আদালতকে ব্যবহার করে সেখান থেক তাকে বঞ্চিত করছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান।

গতকাল বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে অবৈধ সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং সংবিধানবিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কি পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তাঁর বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাঁকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

Header Ad

আদানির কেন্দ্র থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ঝাড়খন্ডের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে।

ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। ঈদের ছুটিতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ। এই ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসতে পারে আগামী ৫ জুলাই।

কিন্তু এরইমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পুনরায় কবে উৎপাদন শুরু হতে পারে, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হলেও গতকাল সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আদানি কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রটির ত্রুটি অনুসন্ধান করে দেখছে।

উল্লেখ্য, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। এর কিছুদিন পর জুনেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। এরপর ত্রুটি ঠিকঠাক করলে আবার উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির। এতে ওই সময় কয়েক দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল।

বিশ্বকাপ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান

ছবি: সংগৃহীত

পুরো টুর্নামেন্টে নিজের নামের প্রতি সেভাবে সুবিচার করতে পারেনি বিরাট কোহলি। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে স্বরূপে ফিরলেন ভারতের এ ওপেনার। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে দলটি। ফলে প্রথম শিরোপা জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৭৭ রান।

ম্যাচের আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন এই মাঠে ১৭০ রানই যথেষ্ট। তার দল সেটা করেছে একদম ঠিকঠাকভাবে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত।

এবারের আসরে অক্ষর প্যাটেল যেন ভারতের বাজির কালো ঘোড়া। পুরো বিশ্বকাপে যখনই ভারত দল বিপদে পড়েছে, তখনই অক্ষরকে আগেভাগে নামিয়েছিলেন ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ইনিংস মেরামতের কাজে অক্ষরের ওপরে আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেটা আরও একবার হাজির হলো ফাইনালের মঞ্চে। আর অক্ষরও প্রমাণ করলেন নিজেকে। যার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকা নিয়েই কিছুটা প্রশ্ন ছিল, সেই অক্ষরই দলকে বাঁচালেন আরেকদফায়।

শুরুর ৫ ওভারেই ভারত হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে কেশব মহারাজের ওভারে দুই উইকেট। আর দুই ওভার বিরতি দিয়ে ৩ রানে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাট কোহলি আর অক্ষর প্যাটেল যেন ছিলেন ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনায়। দুজনের ব্যাট থেকে এলো ৫৪ বলে ৭২ রানের কার্যকরী এক জুটি।

বার্বাডোজে অক্ষর খেললেন মনে রাখার মতোই ঝকঝকে এক ইনিংস। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করলেন ৪৭ রান। শিভাম দুবের জন্য মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কোহলিও ততক্ষণে ছুটছিলেন ফিফটির পানে। দুবে কোহলির সঙ্গে করলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি। কোহলি পেলেন আসরের প্রথম ফিফটি।

শেষ পর্যন্ত ভারত পেল ১৭৬ রানের পুঁজি।

চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর তেলপাম্পের নিকট থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির মাথায় ক্ষতচিহ্নসহ মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, বেশ কিছুদিন থেকেই অজ্ঞাত মানসিক ভারসম্যহী ওই ব্যক্তি সন্তোষপুর তেলপাম্পের কাছে থাকতো। স্থানীয় লোকজন তাকে খাবার দিতো। সেটা খেয়ে সে সেখানে রাত যাপন করতো।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এদিন ভোর ৫টা হতে সকাল ৬টার মধ্যে কোন এক সময় জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে দ্রুতগতির পরিবহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়। একটি শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় ব্যক্তিটি ঘটনাস্থলেই মরে পড়ে আছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে জীবননগর থানায় নিয়ে এসে সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

আদানির কেন্দ্র থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ
বিশ্বকাপ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৭৭ রান
চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধর মরদেহ উদ্ধার
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান
বলিউডের সিনেমায় আরিফিন শুভ, নায়িকা সৌরসেনী!
আঘাত লেগেছে পায়ে, অপারেশন করা হলো গোপনাঙ্গে!
যে কারণে বিয়ের ৫০ বছর পর স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন দম্পতি
সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে: মির্জা ফখরুল
অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ওপরই আস্থা বিসিবির
সরকারি হাসপাতালে সবকিছু বিনামূল্যে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংক থেকে ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন পেল বাংলাদেশ
ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কোনো দাসত্ব চাই না: গয়েশ্বর
মেট্রোতে চড়ে সংসদে গিয়ে কটাক্ষের মুখে সায়নী ঘোষ
ইসরায়েলি অভিযান, গাজার শুজাইয়া থেকে পালালো ৬০ হাজার বাসিন্দা
শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, পরিসংখ্যান কার পক্ষে?
ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবিতে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
আমার স্বামীকে নিয়ে কেউ অসম্মানজনক মন্তব্য করলে তাকে এড়িয়ে চলব : বুবলী
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে যে প্রার্থী
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেই পাস হচ্ছে নতুন বাজেট