বিএনপিকে নিশ্চিহ্নে ক্র্যাকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার: রিজভী
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
সরকার আবারো নতুন করে বিএনপিসহ বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করতে ‘ভয়ঙ্কর ক্র্যাকডাউনের’ পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশজুড়েই একদলীয় ভোটারবিহীন ডামি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জনগণের পদধ্বনি বাড়ছে। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে জনগণের সুদৃঢ় ইস্পাত কঠিন ঐক্য অবলোকন করে ভীতসন্ত্রস্ত ক্ষমতাসীনরা।
রবিবার (১২ মে) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ জনবিচ্ছিন্ন ভোটারবিহীন সরকার দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উপজেলার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে একেবারেই জনপ্রিয়তা-শূন্য হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। নিজের কর্মদোষে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হওয়ার এটি বড় লক্ষণ। এখন তাদের সঙ্গে কিছু লুটেরা আর ভারত ছাড়া কেউ নেই।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে একদলীয় ভোটারবিহীন ডামি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জনগণের পদধ্বনি বাড়ছে। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে জনগণের সুদৃঢ় ইস্পাত কঠিন ঐক্য অবলোকন করে ভীত-সন্ত্রস্ত শেখ হাসিনা আবারও নতুন করে বিএনপিসহ বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করতে ভয়ংকর ক্র্যাকডাউনের পরিকল্পনা করেছেন।
রিজভী আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন দেখলেই তা ছিন্নভিন্ন করতে হামলে পড়াই শেখ হাসিনার দমন বাহিনীর কাজ। তার মসনদ রক্ষার প্রভু ভারতের মদতে ৭ জানুয়ারি একদলীয় ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন হয়েছে। তাদের মদতে বায়বীয় সরকারকে রক্ষায় বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। তারা নানা মিথ্যা অজুহাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, গ্রেফতার, দমন-পীড়ন ও সাঁড়াশি আক্রমণ চালাচ্ছে।
নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধীদলকে নির্মমভাবে দমন করতে গিয়ে জনবিচ্ছিন্ন সরকার নিজেরাই নৈরাজ্য-সন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিকল্পিত অরাজকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় ২০১৮ সাল থেকে তাকে কারারুদ্ধ করে রেখেছেন। দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। দেশের মানুষ আজ এই নিষ্ঠুর ও বর্বরতম আচরণের অবসান চায়। দেশের মানুষ তাদের প্রিয় নেত্রীর মুক্তি চায়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, কামরুজ্জামান দুলাল,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক আতিক আল হাসান মিন্টু, নাসিরউদ্দিন রুম্মন, প্রচার সম্পাদক আবদুল করিম সরকার, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মেহেবুব মাসুম শান্ত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান পলাশ, সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সোহেল আলম, হেদায়েত সহ যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।