ইসরায়েলের ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ রহস্যজনক : রিজভী
ছবি: সংগৃহীত
হঠাৎ ঢাকায় ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে সরাসরি একটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সেখান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে ফ্লাইট অবতরণ করার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি এ ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসরায়েল থেকে কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে উঠানামা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে যতটুকু শুনতে পাচ্ছি তাতে এ ঘটনা খুবই রহস্যজনক ও উদ্বেগজনক বলে মনে করছি।’
গত ১১ এপ্রিল ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকায় অবতরণ করে ফ্লাইটটি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এনসিআর-৮০৬ নম্বর ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।
বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায় এখন বাংলাদেশের নাম রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ব্যাপকভাবে দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি। বাংলাদেশ দুর্নীতির এমন একটি পাহাড় রচিত হয়েছে, সেই পাহাড়ের চূড়ায় এখন ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠীর লোকেরা অবস্থান করছে।
রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা মতে বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষ দশের মধ্যে মাঝামাঝি অবস্থায় বাংলাদেশ অবস্থান করেছে। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে টাকার পাচার করে বিশ্বের উন্নত দেশের শীর্ষ ধনীদের মাঝেও নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় অর্থ হরিলুট করেই চলছে ক্ষমতাসীনরা। যারা দুর্নীতির মধ্যে ভাসছে তাদের কাছে মানবাধিকার প্রিয় হবে কেন? ভোট প্রিয় হবে কেন? মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাদের কাছে প্রিয় হবে কেন? এগুলো ছাড়াইতো তারা ক্ষমতাসীন হয়ে অবাধে জনগণের টাকা লুটে নিতে পারছেন। পৃথিবীর ধনী ধনী দেশে দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে পারছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ডামি সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই, দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তাদের জনগণের ভোটের কোনও প্রয়োজন হয় না। তারা ভোটকে পাত্তা দেয় না। যারা জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করে তাদের কাছে জনগণ কি আশা করবে?
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতিকে আশকারা দিয়ে, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকতে সুযোগ দিয়ে, দুর্নীতির টাকা নিয়ে সমাজে আধিপত্য বিস্তারে মত্ত হয়ে উঠেছে। এখন দেখছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আধিপত্যের জেরে জনপথের পর জনপথ রক্তাক্ত হয়ে উঠছে। আজও মুন্সিগঞ্জে তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজন খুন হয়েছেন।
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সমস্ত জরাজীর্ণতা ও সমস্ত গ্লানি মুছে নতুনভাবে দেশটাকে গড়ে তুলা, আমাদের যে লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফেরানো, সে আন্দোলনকে আরও বেশি তরান্বিত করবো, মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনবো সেটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।