বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়িতে কাঁথাও বানায় না: রিজভী
ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
‘বিএনপির নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করবো আপনারা সত্যি ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারত থেকে শাড়ি তেমন কেনে না। আর ভারতীয় পুরোনো শাড়ি দিয়ে কাঁথাও বানায় না।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে মারা যাওয়া, গুম হওয়া ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘‘যে দেশ ভোট ডাকাত দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলো, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো- সেই নির্বাচনকেও তারা স্বীকৃতি দিলো। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন- ‘আমরা এই সরকারের পাশে আছি।’ যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে, সেই দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত, তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে, আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।’’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন। আপনি বলেছেন— ‘আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে?’ যুদ্ধ করেছে এদেশের কৃষক শ্রমিক, ছাত্র, যুবকরা, নজরুল ইসলাম খান, সাদেক হোসেন খোকা প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা, তারা কি আওয়ামী লীগ করতেন ।’’
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ন করা ঠিক হবে কি না, এসব নিয়ে অনেকে নিউজ করছেন, টকশো করছেন। কিন্তু কথা হলো ভারতের পণ্য বর্জন করায় সরকার ও তাদের লোকরা এত বিচলিত কেন?’
সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা, ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে কেন কথা বলা যাবে না। এগুলো কি দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না?’