স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও গণতন্ত্রের মুক্তি মেলেনি: মঈন খান
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল গণতন্ত্রের লক্ষ্যে। কিন্তু গণতন্ত্রের মুক্তি মেলেনি।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, আজকে আমরা স্বাধীনতার পরে ৫৩ বছর অতিক্রান্ত করে এই স্মৃতিসৌধে এসেছি। ১৮ কোটি মানুষের একটি প্রশ্ন গণতন্ত্র কোথায় গেল, সেই দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কোথায় গেল?
তিনি বলেন, একটি সরকার এ দেশে এসেছে, সে সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে বলে গণতন্ত্র, বাস্তবে করেছে একদলীয় শাসন। তারা এবার করেছে বাকশাল-২। এটা আমার কথা নয়, এটা বিশ্ববাসীর কথা। আজকে আপনারা দেখেছেন কীভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ হাজার কোটি টাকা এ দেশ থেকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। মেগা উন্নয়নের নামে কীভাবে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে তাদের আসামি বানানো হয়েছে। এখানে যদি মানুষের ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ ও গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ না থাকে, তাহলে আজকে যারা কবরে শায়িত মুক্তিযোদ্ধা, তাদেরকে প্রশ্ন, কেন তারা এ দেশটি স্বাধীন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তর আওয়ামী লীগ সরকারকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। এটা আজকে অত্যন্ত স্পষ্ট, যখন সেই ২৫ মার্চের কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপরে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন আজকের আওয়ামী লীগ, যারা আজকে নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি বলে দাবি করে, তারা সেদিন পলায়নপর ভূমিকা নিয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর আওয়ামী লীগ দিতে পারবে? আমরা সেই উত্তর দিতে চাই না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, এর সঙ্গে আরেকটি কথা যোগ করতে চাই, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বয়ং অংশ নিয়েছিলেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। পালিয়ে লুকিয়ে থাকেননি কলকাতায় আরাম-আয়েশে। তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধে জয়লাভ করে ১৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশের মানুষ ভালোবেসে তাকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তম উপাধি দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আরও একটি প্রশ্নের উত্তর আপনাদের দিতে চাই, যে প্রশ্ন আপনারা করেছেন, শুধু তারা নয়। আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি তাদের রাষ্ট্রীয় ভবনে রাষ্ট্রীয় ভোজসভা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে তাকে সম্মান জানিয়েছেন।