সরকার দেশকে পিতলের বাংলায় পরিণত করেছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশ ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। মুখে সোনার বাংলার কথা বলে, সরকার দেশকে পিতলের বাংলায় পরিণত করেছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন মঈন খান। এসময় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থানের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। বিএনপি মহাসচিব থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মী কেউই এ প্রতিহিংসার হাত থেকে বাদ যায়নি।
মঈন খান বলেন, একটি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এত মামলা, যেটা পৃথিবীর কোথাও নেই। এসব মিথ্যা মামলা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কারাগারে পাঠানো সরকারের জন্য লজ্জার।
ক্ষমতা ছেড়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা করতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাহলে তাদের সামনে একটি পথ খোলা আছে, সেটা হলো- ক্ষমতা ছেড়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা করুক। এটাই আমরা চাই। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে সরকার ফিরে আসুক। এছাড়া এই সরকারের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
‘মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে লাঠিতে ভর দিয়ে নালিশ করতে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে মঈন খান বলেন, মহাসচিব একজন প্রবীণ ব্যক্তি। কোনো নীতিবান লোক একজন সিনিয়র সিটিজেন সম্পর্কে এ ধরণের কথা বলতে পারেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কথায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে, মহাসচিব তিন মাসের অধিক কারাগারে ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা আমরা সবাই জানি। সেই অবস্থায় যদি তিনি একটি লাঠি নিয়ে বেরিয়ে থাকেন সেটা তো তার যে প্রতিজ্ঞা সেটা প্রমাণিত হয়েছে। বিদেশিদের সঙ্গে কে কথা বলে না? আমরা তো দেখেছি, সরকারও বিদেশে গিয়ে সহযোগিতা চেয়েছে এবং বন্ধুত্ব করতে চায়। আমরা পত্রিকায় দেখেছি। সরকার নিজেই প্রকাশ্যে বলেছে।