রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে লাঠি মিছিল

রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে লাঠি মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রাজধানীতে লাঠি মিছিল করেছে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় এই মিছিল হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ সময় ‘অবৈধ নির্বাচন মানি না মানব না‘, ‘ডামি নির্বাচন মানি না মানব না‘, ‘একতরফা নির্বাচন মানি না মানব না‘, ‘ভোট চোর, ভোট চোর, আওয়ামী লীগ ভোট চোর‘ স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কাওরানবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু হয়ে আশেপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে দেশে দুটি ধারা বিদ্যমান। একটি হচ্ছে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। আরেকটি হচ্ছে টাকা পাচার ও লুটেরাদের পক্ষে, মানুষের অধিকার হরণের পক্ষে। আমরা যারা ন্যায়ের পক্ষে আছি তাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

তিনি বলেন, অবৈধ নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। লুটেরাদের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। তিনি বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে অবৈধ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহযুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য সেলিম রেজা হাবিব, ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির সিদ্দিকী, মেহবুব মাসুম শান্ত, খন্দকার আল আশরাফ মামুন, কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, তারেক উজ জামান তারেক, মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক শওকত আরা উর্মি, যুবদলের সাবেক নেতা সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এম আর গণি, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফ, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, আজিজুল হক জিয়ন, নাসরিন রহমান পপি, রুহুল আমিন, জাকারিয়া হোসেন ইমন, মোঃ সাদেক মিয়া,

জান্নাতুল নওরিন উর্মি, যুবদল নেতা মো. নজরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট এমদাদুল হক ইমরান, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক জসিম সিকদার রানা, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের শাহাবুদ্দিন ইমন, ঢাবি ছাত্রদলের মাসুদুর রহমান মাসুদ রাজু আহমেদ, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, মৎস্যজীবী দলের ওমর ফারুক পাটোয়ারী, এ কে এম ওয়াজেদ, মো. শাহ আলম ও কেএম সোহেল রানা, তাঁতীদলের জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম রানা, হান্নান খান, আবুল কালাম মাস্টার, মন্জুর হোসেন, জুলহাস, আলম, লিটন, বাবু ও ফারুক, মো. রাকিব বিল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম চৌধুরী, ফজলে কাদের সোহেল, এইচএম আবু সাঈদ, গিয়াস উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, আরিফুল ইসলাম রিপন, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মাহমুদ, কৃষকদলের ফারজানা ইয়াসমিন লিপি, যুবদল নেতা কাজী মনজুর রহমান, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, ঢাকা কলেজ দক্ষিণায়ন হলের সাধারণ সম্পাদক শাওন খন্দকারসহ কয়েকশো নেতাকর্মী।

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু