বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির সোমবারের হরতাল পেছানো হয়েছে। কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহর মৃত্যুর কারণে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এর সম্মানার্থে সোমবারের হরতাল একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, 'কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহ মারা যাওয়ায়, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এই কারণে আগামীকালের পরিবর্তে আগামী ১৯ ডিসেম্বর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।'
গতকাল শনিবার কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-সাবাহ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। এর আগে গত মাসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম হাসপাতালে ভর্তির কারণ হিসেবে 'জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যা'র কথা জানিয়েছিল।
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক এবং তার স্বামী আজমান নাসির। ছবি: সংগৃহীত
বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেই আজমান নাসিরকে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। মাত্র ৯ টাকা কাবিন ও ৯০০ টাকার শাড়িতে মাদ্রাসায় বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পরপরই চমকের স্বামীকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোনা যাচ্ছে নাসির আগেও দুটি বিয়ে করেছেন। দুই ঘরেই রয়েছে সন্তান। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন চমকের স্বামী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সামাজিকমাধ্যমে ৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন আজমান নাসির।
৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নাসির বলেন, ‘চমকের স্বামীর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস! তথ্য কী? আমার দুটি বিয়ে নিয়ে আপনারা (সাংবাদিক) নিউজ করছেন। হ্যাঁ, শরিয়ত মোতাবেক দুটি বিয়ে করেছিলাম এবং শরিয়ত মোতাবেক ডিভোর্সও হয়েছে। এর অনেক পরে চমকের সঙ্গে পরিচয়। আমাদের প্রেম হয় এবং শরিয়ত মোতাবেক আমরা বিয়ে করি।’
চমককে নিয়ে নাসির বলেন, ‘এখানে নিউজে চমককে অনেক ছোট করা হয়েছে। চমক একটি অসাধারণ মেয়ে এবং কোনো পুরুষ মনে হয় না চমককে প্রত্যাখান করবে। আমি অতি সাধারণ একজন ছেলে। তারপরও চমক আমাকে যে পরিমাণ ভালোবেসেছে, এটা আমার জন্য ভাগ্যের বিষয়। হয়তো অনেক পুণ্যের কাজ করেছিলাম, যার জন্য চমকের মতো মেয়েকে আমার স্ত্রী হিসেবে পেয়েছি।’
বিয়ে করে অপরাধ করেননি মন্তব্য করে নাসির বলেন, ‘আমার দুইটা ডিভোর্স হওয়ার পরে চমককে বিয়ে করেছি এটা কি আমার অপরাধ? এখন তো মানুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। আমি তো এটা করিনি। আমি বিয়ে করেছি।’
তার দাবি, ‘চমকের সঙ্গে আমার পরিচয় ডিভোর্সের অনেক পর। চমক তো আমার অতীত সম্পর্কে জানতেও চায়নি। সে আমাকে ভালোবেসেছে, আমি তাকে ভালোবেসেছি। আমরা দুজন একসঙ্গে ভালোবেসে সারাটি জীবন কাটাতে চেয়েছি। কিন্তু আপনারা যেভাবে নিউজ করছেন, তাতে আমার মনে হচ্ছে না আমরা বেশিদিন সুখে শান্তিতে থাকতে পারব। আপনারা চানও না আমরা সুখে শান্তিতে এভাবে থাকি।’
নেটবাসীর কাছে নাসিরের জিজ্ঞাসা, ‘আপনারা কী চান? যেভাবে কমেন্টে লিখছেন ৯ দিনও টিকবে না ৯ টাকা দেনমোহরের বিয়ে। আপনারা কি চান আমাদের আবার ডিভোর্স হয়ে যাক? আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেলে কি আপনারা খুশি হবেন? এটাই কি সমাধান? নাকি আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে সারাজীবন সুখে শান্তিতে থাকতে পারি সেটা চান?’
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নাসির বলেন, ‘দুটো ডিভোর্স হওয়ার পর আমার ভরসাই উঠে গিয়েছিল। মেয়েরা কী পরিমাণ প্রতারক হতে পারে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। চমকের সাথে পরিচয় হওয়ার পর উপলব্ধি হয়েছে, আসলে সব মেয়ে একরকম নয়। আমি আমার কুৎসিত অতীত কখনো চমকের সামনে আনতে চাইনি। চেয়েছি আমার অতীত থেকে সবসময় চমককে দূরে সরিয়ে রাখতে।’
তার অভিযোগ, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) নিউজের কারণে আমার অতীত বারবার চমকের সামনে চলে আসছে। আমি চমকের সামনে মুখ দেখাতে পারছি না। নিউজের পর চমকের সামনে দাঁড়াতে পারিনি।’
সবশেষে অনুনয় করে নাসির বলেন, ‘আমি হয়তো সাধারণ একজন মানুষ। হয়তো জানি না কথাগুলো কীভাবে গুছিয়ে বলব। জীবনের প্রথম ক্যামেরার সামনে কথা বলছি। আমি এতটুকুই চাই, আপনারা আমাকে চমকের সঙ্গে সুখে সংসার করতে দিন। আমি সত্যি তাকে ভালোবাসি। ও আমার পুরো পৃথিবী। আপনারা আমার পৃথিবীটা এলোমেলো করে দেবেন না প্লিজ।’
জানা গেছে, ২০০৮ সালে প্রথম বিয়ে করেন নাসির। তার স্ত্রীর নাম সামান্তা ইসলাম। ২০১১ সালের নভেম্বরে তাদের ঘরে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে ২০১৬ সালেই সেই সংসারে বিচ্ছেদ হয়। প্রথম সংসারে ভাঙনের পর লামিয়া ফারহিন নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নাসির। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন এই জুটি। সে ঘরেও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তবে দ্বিতীয় সংসারও টেকেনি।
দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী চমকের সঙ্গে পরিচয় হয় এই ব্যবসায়ীর। চলতি বছরের শুরু থেকেই চুটিয়ে প্রেম করেছেন দু’জন। গেল মাসে বাগদানের পরে শ্রীলঙ্কায় উড়াল দেন এই জুটি। সেখান থেকে ফিরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
অন্যদিকে, চমক এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বরে একবার বিয়ে করেছিলেন। সেই স্বামীর নাম খান এইচ কবির। সে সময় তাদের কয়েকটি ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও চমকের দাবি— ছবির ছেলেটি তার স্বামী নয় প্রেমিক। ওই ঘটনার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠক হয়নি বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি জরুরি সাক্ষাৎ রয়েছে। তাই তিনি আমাদের সময় দিতে পারেননি। আগামীকাল মন্ত্রী বৈঠকের বিষয়ে আমাদের জানাবেন।
এর আগে গতকাল (বুধবার) অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া আজ বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। শিক্ষকেরা বলছেন, নতুন পেনশন স্কিমের কারণে জুলাইয়ে যোগ দেওয়া শিক্ষকেরা অবসরের পর এককালীন টাকা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন না। কর্মবিরতি ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের আশঙ্কা নেই জানিয়ে তাঁরা বলছেন, দাবি আদায় হলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ছবি: সংগৃহীত
তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চীনের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান করব। এ প্রকল্প নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা, এখনো বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কূটনীতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডি ক্যাব আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইয়াও ওয়েন বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি আছে চীন। যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান করব। এখনও আমরা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ নদী বাংলাদেশের নদী। অতএব তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেটা সম্পন্ন করয়েছি। যে পক্ষই এ প্রকল্পে কাজ করুক, দ্রুত শেষ হোক; সেটাই আমরা চাই। উত্তরের সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক, সেটা আমরা চাই। প্রয়োজন হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি আছে চীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর প্রসঙ্গে ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে এদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কৃষি সহযোগিতা, ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট, ডিজিটাল ইকোনোমি, শিক্ষা, গণমাধ্যমের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে। আবার রোহিঙ্গা সংকটও আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ উন্মুক্ত করতে চীন কাজ করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। কিন্তু যত জটিলই হোক, আমরা চেষ্টা করে যাব যুদ্ধবিরতি আনার। যুদ্ধবিরতি না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন। আমরা আরাকান আর্মির সঙ্গেও কথা বলেছি এ বিষয়ে। আরাকান আর্মিসহ সব আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
তবে সহসাই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব নয়, এমনটা ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তৃতীয়পক্ষীয় আলোচনা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এটিকে আমরা বন্ধ বলতে চাই না। এটাও নিশ্চিত নই যে, কবে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে, গৃহযুদ্ধ থামে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দ্বার উন্মুক্ত হয়।
ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখে চীন। এ ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন চলতে থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ৪ হাজার ডলার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের দৃষ্টিভঙ্গি একই। ফলে আমাদের সম্পর্কের একটি কমন জায়গা রয়েছে।