সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

এই সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তা‌দের পতন নিক‌টে। কারণ বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। স্বাধীনতার জন্য। এই দেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান নেই।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে ভোটার অধিকার ফিরে পেতে চাই শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি সব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেছে, এক সাগর রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, অধিকারের জন্য এবং বিজয় লাভ করেছে। সে দে‌শের জনগন স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে আজ ন্যূনতম অধিকারও পাচ্ছে না। সে তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করা ক্ষমতা রাখছে না।

বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এত বড় ঠক মিথ্যাবাদী সরকার গত ৫২ বছরে এদেশের জনগণ আর প্রত্যক্ষ করেন নেই। আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয় তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের জনগণ কিছু পায়। এদেশ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে টাকা পাচার, দুর্নীতি গুম খুন ছাড়া আর কিছুই হয় না।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিথ্যা তথাকথিত মামলায় চার বছর ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে সরকার। খালেদা জিয়া সত্যের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। মানুষের অধিকার আদায়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার স্বামী এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষক। এমন একজন নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় তারা বন্দি করে রেখেছে এর চেয়ে স্বৈরাচারী আর কি হতে পারে?

কৃষক দলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, আমরা কর্মসূচি দিলেই সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হয়। বিরোধীদল যে সময় যে জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করে ঠিক সেই জায়গায় ওই সময় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এত বড় স্বৈরাচারী ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি একদিন তাদের বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে। তখন সব দায়ভার এ সরকারকে নিতে হবে।

শামসুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করব। পার্লামেন্ট ইস্তফা দেবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। যত অস্ত্র নামে-বেনামে দেওয়া হয়েছে সমস্ত অস্ত্র রিকভারি করতে হবে। দলীয় পরিচয় যাদের অস্ত্র দেওয়া হয়েছে সেগুলো রিকভারি করতে হবে।

তিনি বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারালয়সহ সবকিছু দলীয়করণ করা হয়েছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারের পতন অনিবার্য। এ সরকারের পতন ঘটতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জিনাফ এর সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সভাপতি মোখতার আকন্দ প্রমুখ।

এসএন

Header Ad
Header Ad

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীতে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। ওইদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় অনলাইন ও সরাসরি মাঠপর্যায়ে জনমত জরিপ চালানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ এই জরিপে অংশ নিয়েছেন এবং তাদের মতামত প্রদান করেছেন। এই মতামতের ভিত্তিতেই নতুন রাজনৈতিক দলের কাঠামো ও আদর্শ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির নীতিনির্ধারকদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন নাহিদ ইসলাম। এছাড়া দলের সদস্যসচিব হিসেবে বর্তমান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নাম প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।

নতুন এই রাজনৈতিক দল তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে এবং এটি দেশের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

Header Ad
Header Ad

বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক দল, নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন পারস্পরিক বিভেদ সৃষ্টি করে স্বৈরাচারকে ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া হয়। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তর্ক-বিতর্কের সময় এমন কিছু যেন না ঘটে, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের স্বার্থবিরোধী শক্তি সুযোগ পেয়ে যায়। সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা করলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যা আড়াল হয়ে যেতে পারে, তাই এর পরিবর্তে দ্রুত নির্বাচন নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যাতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রয়েছে এবং দলকে আরও গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনো প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীরা গায়েবি ও মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব কেবল জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী হলে, নেতৃত্ব সঠিক ব্যক্তিদের হাতে গেলে দল সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে যাবে। একইভাবে দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়লে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। অতীতে কীভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে এবং নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। বিশেষ করে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ১৪০০ নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, কৃষি খাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি আমরা এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

তারেক রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করে দেশ থেকে পালিয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর আগে বলেছিলেন, এই স্বৈরাচার একদিন লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালাবে—আজ সেটাই সত্য হয়েছে। আমরা এখন সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু যদি শুধু এই বিষয়ে অযাচিত আলোচনা চালিয়ে যাই, তাহলে জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে না।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা তুলে ধরেন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। গণতন্ত্রের চর্চা যত বেশি হবে, ততই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ কারণেই বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচন করছে।

সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা হাত তুলে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সকালে সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও প্ল্যাকার্ড হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আয়োজিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু ও মুর্শিদ কামাল।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সৈয়দা রেহানা ঈসা।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০৫। উল্লেখ্য, খুলনা মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে পর্যটক যাতায়াতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেখানে ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সাজেকে পর্যটক গমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।”

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং ৭টি রেস্টুরেন্ট সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলোর মধ্যে ১৯টি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এবং বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।

অন্যদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াশ ইয়াসিন জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে মোট ১২০ থেকে ১৪০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, “সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রথমে ইকো ভ্যালি রিসোর্টে আগুন দেখা যায়, পরে তা আশপাশের অন্যান্য রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।”

পরবর্তীতে, বাঘাইছড়ি, দিঘিনালা, খাগড়াছড়ি, পানছড়ি ও রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, “বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পানি ছিটানো হচ্ছে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানি সংগ্রহে সমস্যা হয়েছে।”

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, “প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।”

সাজেক ভ্রমণ বন্ধের ঘোষণার ফলে পর্যটন খাত সাময়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার পর্যটকদের জন্য সাজেক উন্মুক্ত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি