‘বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ নড়বড় হয়ে গেছে’

বিএনপির চলমান পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পায়ের আওয়াজ পেয়ে গেছে। ওই যে কারা আসছে, গণতন্ত্র চায়, ভোটাধিকার চায়।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মুগদায় পদযাত্রা কর্মসূচির আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে সকাল থেকে একটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার নেই। তিন চারটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে। আল্লাহ বাঁচিয়েছে- কুকুরের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। যদি থাকত তাহলে কি না কি হতো। আরও খবর বেরিয়েছে ভোটারদের ডাকতে পুলিশ মাইকিং করছেন, ভোট দিতে আসেন। যা সেরা কৌতুক।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি যখন জেলখানায় ছিলাম তখন দলের কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের এবং বাইরে এসে কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের চোখে মুখে যে আত্মবিশ্বাস দেখেছি— এই সরকারের পতন অবশ্যই ঘটিয়ে ছাড়ব।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলিনি আমাদের মন্ত্রীত্ব দেন, বিএনপির জন্য গদি ছেড়ে দেন। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলছি। আজকে আমাদের এই পদযাত্রা জনগণের দাবি নিয়ে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যদি চিৎকার করি আওয়ামী লীগ ভয় পায়। নিরব থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। বিএনপির পদযাত্রায় আজকে যে রাস্তা প্রকম্পিত হচ্ছে, সেই কারণে তারা ভয় পেয়ে গেছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। বিদ্যুৎ মন্ত্রী বললেন মাসে-মাসে সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যেন এটা কারো একটা রাজত্ব। রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হুকুম মতো দেশ চলবে, কারও রাজতন্ত্রে নয়। তবে এখনতো কোনো সরকার নেই। একটা অবৈধ দানব আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এই দানবকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বলে ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচির মধ্যে ২৮ জানুয়ারি মহানগর উত্তর বিএনপি রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত এবং ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। একইভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রার মাধ্যমে চারদিনব্যাপী কর্মসূচি আজ শেষ হচ্ছে।
এমএইচ/আরএ/
