সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনেক হয়েছে ‘বিদায় হও’, সরকারকে ফখরুল

শুধুমাত্র সভা করে, কথা বলে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পাব না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।’

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদের আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকার আপনারা কেড়ে নিয়েছেন। আমাদের দুইবার ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমার জনগণের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। মানুষের পকেট কেটে আপনি বড়লোক হচ্ছেন। আর সেই টাকা বিদেশে পাচার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে অনেক হয়েছে এবার বিদায় হও। জনগণের রক্ত শোষণ করে খেয়েছ এবার বিদায় হও। পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে সংসদকে বিলুপ্ত করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেই তত্ত্ববোধক সরকার নতুন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচনের জনগণ তাদের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাধীনচেতা। বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধ শুরু করে ছিল। পরবর্তীকালে ৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে গণতন্ত্র রক্ষা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।’

আজকে আবার ফ্যাসিবাদকে হটানোর জন্য সামগ্রিক লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই শুধু বিএনপি’র লড়াই নয়, এটা বিরোধী দলের নয়, এটা জনগণের লড়াই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের জনগণের সমস্ত অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীন দেশের নাগরিকত্ব থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা শুরু হয়েছে বিএনপির' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, অদ্ভুত, এ ধরনের কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এগুলো জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি। গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে আমরা দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে লড়াই করছি। আসলে গণতন্ত্র শুধুমাত্র একদিনের নির্বাচন তা নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক একটা সিস্টেম। একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক যে ব্যবস্থা এবং সেটা রাষ্ট্রের জনগণের কাজে লাগানোর জন্য; জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা সামগ্রিকভাবে বৃহত্তর জনগোষ্টির মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। সবচেয়ে বৃহত্তর অংশের মানুষ যা বলবে সেভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা চলবে।’

দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, যে স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছিলাম। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পরপরেই আসজের যে আওয়ামী লীগ তারা সেদিন ক্ষমতায় ছিল। তারা দাবি করে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তারও পূর্বে স্বাধিকার আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭১ সালের পূর্বে এবং ৭১ পরবর্তী ছিল ভিন্ন। আমরা দেখেছি গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ে যারা লড়াই সংগ্রাম করছেন পরবর্তীকালে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের অধিকারগুলোকে হরণ করে জনগণকে বঞ্চিত করে তারা নিজেদের কর্তৃত্ব এবং শাসনকার্যকে পাকাপোক্ত করতে সব কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অনেকে আছেন যারা এখনো বলেন আওয়ামী লীগেই হচ্ছে মোটামুটি একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এটা বলার কোনো অবকাশ নাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ৫০-৫১ বছরে প্রমাণ করেছে তারা কোনো দিন কনো মতেই গণতান্ত্রিক দল নয়। ১৯৭১ সালের পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল এবং তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্যে একে একে বিরোধীদল কে দমন করেছে, নির্যাতন করেছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর তারা নতুন বাহিনী তৈরি করেছিল রক্ষীবাহিনী। আর যুদ্ধের সময় বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে তৈরি করেছিল মুজিব বাহিনী। এখন আওয়ামী লীগ আবরও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে বিরোধীদল মত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৬ শত নেতা০কর্মীকে গুম করেছে। এখন পর্যন্ত তাদের চিহৃ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না।’

হাজারের উপর নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বিরোধী দলের ৪০ লক্ষ নেতা-কর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। কোথাও কিছু ঘটেনি আওয়ামী লীগ নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। আজকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতন, যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র কখনো এক সঙ্গে যায় না। আওয়ামী লীগের দুটি জিনিস আছে। একটি হচ্ছে সন্ত্রাস তারা ভয় দেখিয়ে সবকিছু করে নিতে চায়।আরেকটি হচ্ছে সুযোগ পেলেই লুট করা। যাকে আমরা বলি লুণ্ঠন। এ দুটো তাদের মজ্জাগত।

৭১ সাল আর এখনকার সময় এক নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৯০ এর সময়ের সঙ্গেও এখনকার সময় এক নয়। তখনকার ফ্যাসিবাদী সরকারের চেহারা আর এখনকার ফ্যাসীবাদী সরকারের চেহারাও এক নয়।

এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারি, সাম্যবাদি দলের চেয়ারম্যান কমরেড নুরুল ইসলাম, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, মাইনরিটি পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী, এনপিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসেন, নবী চৌধুরী, মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

খেজুর। ছবি: সংগৃহীত

খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল। যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি। যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয়, চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।

ছবি: সংগৃহীত

ক্যান্সার প্রতিরোধ: পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাঁদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

দুর্বল হৃদপিণ্ড: হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ খেজুর।

মুটিয়ে যাওয়া রোধ: মাত্র কয়েকটি খেজুর ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অল্পতেই শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে।

মায়ের বুকের দুধ: খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য সমৃদ্ধ এক খাবার, যা মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ আরো বাড়িয়ে দেয় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ছবি: সংগৃহীত

হাড় গঠন: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে।

অন্ত্রের গোলযোগ: অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা প্রতিরোধেও সহায়ক।

ছবি: সংগৃহীত

কোষ্ঠকাঠিন্য: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

সংক্রমণ রোধ: যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ কাজ দেয়।

শিশুদের রোগবালাই: খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে। তাই শুধু রমজান মাসে কেন, বছরজুড়েই খাদ্যতালিকায় থাকুক খেজুর।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

মিঠাপুকুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি, যার কারণে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এতে ভুক্তভোগীরা ব্যাপক হতাশা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন।

কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, তারা সকালে অফিসে এসে দলের রেজিস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে গেলেও মোহরীরা দলিল রেজিস্ট্রি না করার কথা জানিয়ে তাদের ফিরে যেতে বলেন। তারা আরও বলেন, সাব রেজিষ্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কাগজপত্রে জমির কাগজ ছাড়াও নানা ধরনের অতিরিক্ত কাগজ জমা দিতে হবে, যা পূর্বে রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন ছিল না। এই অতিরিক্ত কাগজপত্রের জন্য তারা দলিল জমা দিতে পারছেন না।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনসহ অনেক দলিল লেখক জানান, পূর্বে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন ছিল না, এখন সেগুলো জমা দিতে বলা হচ্ছে। এর ফলে সেবা গ্রহণকারীরা নানা সমস্যা ও সময় সাপেক্ষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। এছাড়াও তারা জানান, সাব রেজিস্ট্রার সেবা গ্রহিতাদের এবং স্থানীয়দের সাথে অসদাচরণ করছেন, যার কারণে দলিল দাখিল হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার শিরিনা আক্তার জানান, তিনি সকাল ৯টা থেকে অফিসে রয়েছেন এবং একের পর এক কাজ করছেন। তবে দলিল দাখিল না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দলিল দাখিল না হওয়া কারণে রেজিস্ট্রি হয়নি। তবে কেন দলিল দাখিল হচ্ছে না, তা আমি বলতে পারবো না।" তিনি আরও জানান, সেবা গ্রহিতাদের নিয়ম বহির্ভূত আবদার রাখার কারণে মনক্ষুণ্ন হচ্ছেন এবং এই সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন।

অফিসের তথ্য প্রকাশ করার জন্য নকল কপি এবং রেজিস্ট্রি ফি সংক্রান্ত বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার রেকর্ড রুমে একটি বোর্ডের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই বোর্ডটি কেন বাহিরে রাখা হয়নি, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, অফিসের অবস্থা খারাপ থাকায় এটি বাহিরে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি এবং চুরির আশঙ্কার কারণে এটি ভিতরে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাব রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতির মধ্যে দলিল রেজিস্ট্রি ফি এবং নকল কপির ফি নিয়ে বিরোধের কারণে এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি ফি ৬০০ টাকা হলেও অফিসে তা ১,৩২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং নকল কপির জন্য ২-৩ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি, দলিলের টিপ সিল দিতে ১-২ শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তারা সন্দেহ করছেন যে, এই বাড়তি টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মতবিরোধের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার এবং দলিল লেখক সমিতি এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, "এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" ভুক্তভোগী এবং সচেতন মহল দ্রুত সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Header Ad
Header Ad

পুড়ে গেছে ৭০ রিসোর্ট

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সাজেকের অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সাজেক অবকাশ, ইকো ভ্যালি ও মেঘছুট রিসোর্ট এবং মনটানা ও মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ প্রায় ৬০-৭০টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে গেছে।

সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, ‘সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কতগুলো রিসোর্টে আগুন লেগেছে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালার দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। পাশাপাশি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।

বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর মো. আবু নঈম খন্দকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা যাচ্ছে না।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ