আওয়ামী লীগ ধরা পড়ে গেছে: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই অনির্বাচিত সরকার আজকে সর্বক্ষেত্রে ধরা পড়ে গেছে। ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে এখন ইতিহাস বিকৃতি করে শেষ রক্ষার চেষ্টা করছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি দেশের জনগণ গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’
শনিবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। ডক্টরস অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, শুধু দেশে নয়, এই আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক ভাবেও ধরা পড়েছে। অথচ অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলছেন- একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্রের সুবাতাস বয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আরও বলেছেন- বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। আমি ভোটবিহীন অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে বলছি; বিএনপির মুখেই গণতন্ত্রের কথা মানায়। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইসঙ্গে মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কোনো স্বৈরাচারী সরকার আপসে বিদায় হয় না, কাজেই এই স্বৈরাচারী সরকারও আপসে বিদায় হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। তবে আওয়ামী লীগ সরকার এখন যতই চাপাবাজি করুক না কেন তারা জনগণকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এদের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জনগণ সরকারকে বিদায় ও তাদের পতনের দাবিতে জেগে উঠেছে। জনগণই শিগগিরই গণজোয়ার সৃষ্টি করে এই সরকারের বিদায়ের ব্যবস্থা করবে। সেই লক্ষ্যে বিএনপির চলমান আন্দোলন।
বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, সারাদেশে জনগণের আওয়াজ উঠে যে, যতদ্রুত সম্ভব এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে তার মেরামত করা যাবে না। আওয়ামী লীগ অলিখিত বাকশাল করে দেশকে সর্বক্ষেত্রে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচারবিভাগকেও দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য হলো- তারা (আওয়ামী লীগ) নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীর কথা বলে আর আমরা মুক্তিযোদ্ধার দল হিসেবে পরিচয় দিই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আওয়ামী লীগ স্থানীয় নির্বাচন ও সংসদীয় নির্বাচন উভয় ক্ষেত্র ধ্বংস করেদিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগের লোকেরাও ভোট দিতে পারে না। এরা মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
সমসাময়িক রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান কর্তৃক ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচি প্রযোজ্য বলেও দাবি করে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেছেন।
এসএন
