অচিরেই বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাবে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। অস্ত্র হাতে নিয়ে নিজে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন। আজকের এই দিনে আমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ বাণী দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘জাতির এক ক্রান্তিকালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী জিয়াউর রহমান ছিলেন আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক আপসহীন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তাই সব ধরনের আধিপত্যকামী বৈদেশিক চাপ ও অশুভ প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ জিয়াউর রহমানের এক অবিস্মরণীয় অবদান। জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তার পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয় এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। জাতির মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদের জাগিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছিলেন। তার স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনায় তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা আজো কেউ অতিক্রম করতে পারেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই আমরা স্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক শক্তির থাবা থেকে মুক্ত হবো ও গণতন্ত্র ফিরে পাব। আর এর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের মা গৃহবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
আমি বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাই। একইসঙ্গে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চলমান সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মানুষ আজ জেগে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি অচিরেই বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাবে, হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাবে। জিয়ার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ঐতিহাসিক ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে উদিত নতুন সূর্যের আলোয় দেশকে আলোকিত করার অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে তার ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে।
এমএমএ/
