সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দফা একটাই, সরকারের পদত্যাগ: খন্দকার মোশাররফ

ক্ষমতাসীন সরকার গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আজকে আমাদের দফা একটাই- সেটা হলো এই সরকারের পদত্যাগ।

তিনি বলেন, আজকে এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আমাদের ৬ শতা-ধিক নেতাকর্মীকে খুন ও সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। সে কারণে আজকে এই অবৈধ সরকারের নির্দেশ মানার কারণে র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। অর্থাৎ স্যাংশন দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য সুখকর খবর নয়। এটা আন্তর্জাতিকভাবে লজ্জার। এই অগণতান্ত্রিক সরকার বিচারালয়কে ব্যবহার করছে। গায়ের জোরের শাসন চালাচ্ছে। যে কারণে এই সরকার আমাদের দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে দেশবরেণ্য আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের জীবদ্দশায়, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব সারা জীবন আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার দীর্ঘ জীবনে তিনি যা করেছেন তা স্বল্প সময়ে বলে শেষ হবে না। তার কাছে কেউ আসলে তিনি সদয় মনোভাবাপন্ন হয়ে কথা বলতেন। সুপরামর্শ দিতেন। বিচার প্রত্যাশীকে তিনি ভালো পরামর্শ দিতেন।

তিনি বলেন, আজকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দী করা হয়েছে। একইভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। যদি দেশে আইনের শাসন থাকত তাহলে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে শুধু বিরোধী মতকে স্তব্ধ করার জন্য লক্ষাধিক মামলায় ৩৬ লাখ আসামি হয়েছে। দেশে যে আইনের শাসন নেই তার প্রমাণ খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা। দেশে যে আইনের শাসন নেই এটা নতুনভাবে বলার কিছু নেই।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই অবস্থায় দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, যারা আইনের শাসন দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে, তারা এইগুলো মেরামত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, এক লাখ মামলায় দেশের প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ আসামি। মরহুম খন্দকার মাহবুব হোসেনও একাধিক মামলার আসামি। এ সরকারের সময় ৬০০ মানুষ গুম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। এজন্য র‍্যাব-পুলিশের উপর যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর।

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আজ যে সরকার ক্ষমতায় আছে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নেই।

তিনি বলেন, আমাদের এখন দেশ আছে, জনগণ আছে। কিন্তু গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। দেশে সার্বভৌমত্ব নেই। খন্দকার মাহবুব হোসেন আইন জগতের দিকপাল ছিলেন। তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন, চারবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি হন। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। মহান আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করবেন এই দোয়া করি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আইন ও রাজনৈতিক জগতে খন্দকার মাহবুব হোসেনের চলে যাওয়া আমাদের খুবই ক্ষতি করেছে। উনার সাহসিকতার যে প্রতিভা আজকের দিনে আমাদের খুবই বেশি প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক আদালতে আদেশ দেওয়ার ১৮ মাস পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলার রায় পাল্টানো আমাদের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার ধ্বংস করেছে। এ বিষয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী লিখেছেন, এটা একটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। এরপরও সেই অর্থে আইন জগতে কোনো ঝড় দেখিনি। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে যেভাবে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়, এরপর কি বিচারকরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন? এরপরও বিচার অঙ্গনে কোনো ঝড় উঠতে দেখিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রুল অফ ল’ নয়, রুল বাই ল’ তে চলছে।

আমির খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহামনকে সাজাপ্রাপ্ত বলার মধ্য দিয়ে এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হচ্ছে না। আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হলে আইন অঙ্গনে একটি বড় ধরনের আন্দোলন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ১০ দফা বা ১২ দফা নয়, এখন দরকার এক দফা। একটি অবৈধ অনির্বাচিত সরকারকে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে হবে। এজন্য জনগণের সঙ্গে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে হবে। সরকারকে বলতে হবে, আপনারা নির্বাচিত নন, আপনারা বিদায় নেন।

তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র চর্চার দারুণ অভাব আছে। আইনজীবীদের চিন্তা করতে হবে, গণতন্ত্রের জন্য কী কী প্রয়োজন। পুলিশ দিয়ে রাজনীতি করা, এটা পাকিস্তানেও ছিল না। রাজনীতির প্রথম অর্থ হলো নিঃস্বার্থ হতে হবে। আপনি রাজনীতি করে বড়লোক হবেন, কোটিপতি হবেন। এটা রাজনীতি নয়। চরিত্রবান হতে হবে। জনগণের ভালোবাসা পেতে হবে এবং জনগণকে সাহায্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তন না হলে আন্দোলন করে কিছু পরিবর্তন আসবে না।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বর্তমান সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরীব নেওয়াজ।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্ত্রী ড. ফারহাত হোসেন, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ সহস্রাধিক আইনজীবী অংশ নেন।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

পুড়ে গেছে ৮ রিসোর্ট

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে সাজেকের অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহূর্তেই আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে সাজেক অবকাশ, ইকো ভ্যালি ও মেঘছুট রিসোর্ট এবং মনটানা ও মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ ৮টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে গেছে।

সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, ‘সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কতগুলো রিসোর্টে আগুন লেগেছে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালার দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। পাশাপাশি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।

বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর মো. আবু নঈম খন্দকার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা যাচ্ছে না।’

Header Ad
Header Ad

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭৮ জন মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমা চেয়ে থাকসিন বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

এই ঘটনা 'তাক বাই গণহত্যা' নামে পরিচিত এবং এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে ৯ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হাতে বাধা দিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়া হয়, যার ফলে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়।

থাই মানবাধিকার সংস্থা "দুয়ে জাই" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হিম্মিনা এএফপিকে বলেছেন, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি থাকসিন ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হন, তাহলে তার উচিত এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া।

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত যুবক নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম শিহাব কবির নাহিদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নাহিদ কক্সবাজার পিটিআই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দীন ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনের একমাত্র সন্তান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহত শিহাবের মা আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বৈঠকে অংশ নিতে এলাকাবাসীর কয়েকজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।পথে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে তাদের বহনকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটকে দেওয়া হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা জাহেদকে জোর করে তুলে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন অন্তত হন। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার