বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পুলিশ-আমলা নির্ভর হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল রাখতে চায়’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এখন আমাদের আরও বেশি করে জেগে উঠতে হবে। আমরা আজকে সেই প্রস্তুতি নেই। আসুন আমরা জেগে উঠি। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, এই স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার জন্য আসুন আমরা আজকে একটা নতুন বাংলাদেশ, একটা সত্যিকার অর্থেই জনগণের বাংলাদেশ, সত্যিকার অর্থেই একটা কল্যাণমূলক বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য, আমাদের সন্তানদের একটা সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি করবার জন্য, তাদেরকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য আমরা সবাই জেগে উঠি।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাড়ে তিন ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে সমাপ্তি টেনে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জেগে উঠে আমরা বাধ্য করি এই স্বৈরশাসকের দুঃশাসনের তখতে তাউসকে সরিয়ে সেখানে একটা জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট গঠন করি। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলি। এখন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সংবাদ হচ্ছে এটাই যে, আজকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন, তারা আজকে এই যে অন্যায় হচ্ছে তার বিরুদ্ধে ৬০ জন দেশের বরণ্য নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। আমি তাদেরকে এজন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই, কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।

নয়াপল্টনের সড়কে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকার গঠন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি করে বিএনপি। ঢাকা ছাড়াও অন্য ৯টি বিভাগেও একই সময়ে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচয় দেয়। আমরা জানি যে, তারা অত্যন্ত পুরোনো পরিচিত দল। কিন্তু এখন তারা সম্পূর্ণভাবে তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেজন্য তাদের এখন পুলিশের উপর নির্ভর করে, আমলাদের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জোর করে দখল করে রাখতে হচ্ছে। আজকে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তারা আজকে এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য এবং মানুষের ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য একমত হয়েছে। ১০ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তারা এই আন্দোলনকে সফল করবে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এই সরকারের একজন অত্যন্ত আশ্রিত শোনা যায় তিনি নাকি শীর্ষ নেতাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ… ওয়াসার এমডি তাসকিম (তাকসিম আহমেদ খান)। তিনি আমেরিকায় নাকি ১৮টা বাড়ি কিনেছেন। একটা বাড়ি নাকি ৫১৫ কোটি টাকা। আপনারা ভাবুন যে, কোন দেশে আমরা বাস করছি। দেশের একজন সরকারি কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সরকারের কাছ থেকে বেতন নেন, সে আজকে শত শত কোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছেন। আর আজকে মানি লন্ডারিংয়ের জন্য ছোট-খাটো মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আর তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়ে এই দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যাংকগুলোকে ধবংস করেছে। প্রত্যেকটি ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে তারা (ক্ষমতাসীনরা) বিদেশে পাচার করছে। সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা নিয়ন্ত্রণ করে এখানে একটা লুটের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সরকারের লক্ষ্য একটা- তারা অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে জনগণের সকল অধিকার হরণ করে, গণতান্ত্রিক অধিকারকে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা কি সেটা হতে দেব? এখানে আমরা একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে দেব না।

রাজধানীতে সাড়ে তিন ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। ফকিরাপুল বাজার থেকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কে পলিথিন বিছিয়ে নেতা-কর্মীরা বসে এই কর্মসূচি পালন করেন। নেতা-কর্মীদের মাথায় ছিল লাল-সবুজ-হলুদ-নীল টুপি যা এই অবস্থান কর্মসূচিকে ভিন্ন রূপ দেয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই কর্মসূচির ফাঁকে ফাঁকে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস শিল্পীরা দলীয় এবং দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করে।

১০ দফা দাবিতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে এটি তার দ্বিতীয় কর্মসূচি। গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুগপৎ আন্দোলনে প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।

যুগপৎ আন্দোলনের নয়াপল্টনের এই কর্মসূচির একই সময়ে গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য প্রেসক্লাবের পূর্ব প্রান্তে, গণফোরাম আরামবাগে ইডেন কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, ১২ দলীয় জোট বিজয় নগরে পানির ট্যাংকের কাছে, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট পুরানা পল্টনে এবং এলডিপি কাওরান বাজারে এফডিসির কাছে নিজেদের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করে।

ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের গণঅবস্থানের কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার ঘটনার নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে কারাগারে আটক বিএনপির আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, আবুল হোসেন, সেলিম রেজা হাবিব, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ বন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা জানি, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকলে এই ১০ দফা মানবে না। তাই আমাদের সামনে একটিই চ্যালেঞ্জ এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আগামী দিনে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আজকে এই সরকার শুধু বাংলাদেশের জনগণের কাছে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও আজকে ধিকৃত, আজকে তারা দেখতে চাই না।

এমএইচ/এসজি

Header Ad

নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা

চিত্রনায়ক নিরব ও তার স্ত্রী তাহের চৌধুরী ঋদ্ধি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রী তাহের চৌধুরী ঋদ্ধি মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। দাম্পত্য জীবনের ইতি টানারও ইঙ্গিত দেন তিনি। ঘন্টাখানেক পর ঋদ্ধি ওই পোস্ট মুছে দেন। তাতে অবশ্য তেমন লাভ হয়নি, সকাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নিরব-ঋদ্ধির ভাঙনের গুঞ্জন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করছিল। অবশেষে পিছু হটলেন ঋদ্ধি। নিরবের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নিলেন। জানালেন, পরকীয়ায় জড়িত নন নিরব। রাতে দেওয়া পোস্টের জন্য ক্ষমা চান ঋদ্ধি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ফেসবুকে ঋদ্ধি লেখেন, ‘গতকাল রাতে দেওয়া আমার প্রথম পোস্টের জন্য ক্ষমা চাই। সে (নিরব) আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি। নিরবের এক প্রাক্তন তাঁকে মেসেজ দিয়েছিল। এটা ছিল একপাক্ষিক যোগাযোগ। হিট অব দ্য মোমেন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। প্রাক্তনের যোগাযোগ প্রসঙ্গে নিরবের কোনো দায় নেই। তাই এটা পরকীয়া সম্পর্ক নয়।’

রাতে দেওয়া তাঁর পোস্টের বক্তব্য ধরে কোনো ধরনের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ঋদ্ধি।

সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড শোতে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন নিরব। সেখানে বিভিন্ন স্টেজ শোতে পারর্ফম করার কথা রয়েছে তাঁর। এর মাঝেই স্ত্রীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন তৈরি হয়। প্রথম পোস্টে ঋদ্ধি লিখেছিলেন, ‘বউ বাচ্চা ফেলে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে আবার যোগাযোগ করে। যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয়, কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকতে দিব না।’

এর কিছুক্ষণ পর নিরবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট দেন ঋদ্ধি। সেই পোস্টে লেখেন, ‘নিরব হোসেন, আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য।...২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা-বাবা-সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না। এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না...’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কাসফিয়া তাহের চৌধুরী ঋদ্ধিকে ভালোবাসে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক নিরব হোসেন। তাদের এই বিয়ে মেনে নেয়নি ঋদ্ধির পরিবার। নিরবের নামে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এই ঘটনা তাঁদের পথচলায় বাঁধা হতে পারেনি। নিরব-ঋদ্ধির সংসারে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

Header Ad

মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

তিন বিচারক নিয়ে গঠিত আইসিসির একটি প্যানেল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা দেখবেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মতো ‘উপযুক্ত কারণ’ আছে কিনা। মিয়ানমারের এই জেনারেলের নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। এছাড়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম খানের আবেদনের পর আইসিসির বিচারকরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে কখন সিদ্ধান্ত নেবেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে সাধারণত এমন আবেদনের তিন মাসের মধ্যে বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

তার আগে হেগভিত্তিক আদালতের প্রধান কৌঁসুলি বিচারকদের প্রতি এ আবেদন জানিয়েছেন। আইসিসির এই পদক্ষেপের ব্যাপারে মিয়ানমারের জান্তার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি। গত সপ্তাহে করিম খানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এই পরোয়ানা জারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক চাপের মুখে আছেন তিনি।

বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত আদালতের শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান শরণার্থী শিবির থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই মিয়ানমারের নেতাদের বিরুদ্ধে আরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করতে চান।

তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সব অংশীদারদের সঙ্গে মিলে দেখাবো যে, রোহিঙ্গাদের ভুলে যাওয়া হয়নি। বিশ্বের অন্য সব মানুষের মতো তাদেরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে ক্ষমতা নেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ও নিপীড়নের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠে।

দলবদ্ধ ধর্ষণ, হত্যা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

Header Ad

স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জানা যায়, ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন এসপি বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে।

গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে তাকে স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে বাবুল আক্তার কারাগারে রয়েছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের