‘নির্যাতন-নিপীড়ন ছাড়া এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্যাতনকারী সরকার হিসেবে এ সরকার টিকে রয়েছে। নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচার ছাড়া এরা আর ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। আজ সকল রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এক হয়েছে। ১০ দফা বাস্তবায়নসহ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আজকে জনগণ জেগে উঠেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জেগে উঠেছে। গণমাধ্যমও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ভূমিকা রাখছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির পূর্বঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্য শেষে বিএনপি মহাসচিব ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাধারণ মানুষ আজ বলছে তারা আর পারছে না। চাল কিনতে পারে না। খাদ্য কিনতে পারে না। ওয়াসার এমডি আমেরিকায় ১৪টি বাড়ি কিনেছে। তিনি হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। আজকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারা সব ব্যাংক লুট করে ফোকলা করে দিয়েছে। সরকার লুটের রাজ্য গড়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি অবকাঠামো আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ জালিম শাহী সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে গণবিচ্ছিন্ন দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে আবারও একদলীয় শাসন কায়েম করা। আমরা সেটা হতে দিব না। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি অফিসে ডাকাতের মতো হামলা করে আমাদের শতশত নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। লুটপাট চালিয়েছে পার্টি অফিসে। এগুলো করেছে আমাদের ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য। কিন্তু সরকারের কূটকৌশল বাস্তবায়ন হয়নি। ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ সব বাধা উপেক্ষা করে গণসমাবেশ সফল করে সরকারের অন্যায়ের জবাব দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, আফরোজা খান রিতা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি