‘গণগ্রেপ্তার চালিয়ে সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না’
ফাইল ছবি
সারা দেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার, জামিন বাতিল করে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ দখলদার সরকার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি, সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্মূলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ জনগণের ম্যান্ডেড বিহীন এই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গণগ্রেপ্তার চালিয়ে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। সরকারের সব হামলা, মামলা, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ অচিরেই রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপি সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মো. রাজিব খান, বিএনপি নেতা আবু হানিফ মেম্বার, ছাত্রদল নেতা কৌশিক আহমেদ রানা, ইমরান হোসেন, আরমান আলী, পিরোজপুরে গণমিছিলে হামলা চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিয়ানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্না, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মনি, বিএনপি নেতা মমিনুল ইসলাম নানু, ছাত্রদল নেতা রানা শেখ, রুবেল শেখ, তাঁতীদল নেতা নুরুল ইসলাম শেখ, ছাত্রদল নেতা খালিদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. জালিস, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম এ্যানী, ঝিনাইদহ জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা মাহাবুব খান হানিফ, তৈয়জ উদ্দিন, মো. আনিছুর রহমান প্রভাষক, তবিবুর রহমান, অলিউর রহমান, সানোয়ার হোসেন, রবিউল হোসেন, তোতা মিয়া, শাহ আলম, রমজান আলী, মঈন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, ইব্রাহিম পারভেজ, তুহিন আকতার লাল, শফিক হোসেন, মনির হোসেন, রুস্তম আলী, জয়নাল হোসেন মেম্বার, আজিজুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, গোলাম রসুল, হানিফ মেম্বার, মৎস্যজীবী দল নেতা মো. আজাদ হোসেন বুলু, মো. রাসেল হোসেন, যুবদল নেতা রোকনুজ্জামান, ফিরোজ কবির, রিপন হোসেন, শফিকুল ইসলাম, তানজিল হোসেন, আলম আকতার, আরিফ হোসেন, শ্রমিকদল নেতা জামাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা আশিক হোসেন, ঢাকা মহানগরের মিরপুর মডেল থানা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নবীর হোসেন, বাড্ডা থানা শ্রমিকদল সভাপতি নুর মোর্শেদ, শেরেবাংলা নগর থানা শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা মৎস্যজীবী দল নেতা মোখলেছুর রহমান, সিরাজ মিয়া, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতা বজলুর রহমান, পাগলা থানা বিএনপি নেতা রইছ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা বানোয়াট ও গায়েবি মামলায় অসংখ্য নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অবিলম্বে আটককৃত রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিনা কারণে বিএনপির গণতন্ত্রকামী নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান।
এমএইচ/এসজি