আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকাঠামো ধ্বংস করেছে: খন্দকার মোশাররফ
‘বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তাদের সত্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। তারা দিনের ভোট রাতে করে গত ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। দেশের রাষ্ট্রকাঠামো এক এক করে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।’
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিই, সরকার বলে আমরা নাকি ভায়োলেন্স করব। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। দেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। সে সময় তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। এদেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে তারা লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করেছিল।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দিয়েছিলাম। ১০ দফার মূলকথা ছিল, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে। এদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। মানুষ যেন নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, যেন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু তিনি আশায় গুঁড়েবালি। আমরা বলতে চাই, ২০১৪ এবং ২০১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। সেটা যদি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) না করেন তবে ৫২, ৬৯, ৯০ এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ্ জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার।’
এমএইচ/এসজি