'ভাড়ায় বদনামকারী নিয়োগ' প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান মোশাররফ!
দেশের বদনাম করতে বিএনপি ভাড়াটিয়া নিয়োগ করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা (বিএনপি) নাকি দেশের বদনাম করাতে ভাড়াটিয়া নিয়োগ করেছি। আমরা আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে ভাড়াটিয়ার নাম ঠিকানার ব্যাখ্যা চাই। কাদের দিয়ে দেশের বদনাম করা হচ্ছে তাদের সম্পর্কে জানতে চাই।’
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশের বদনামে ভাড়াটিয়া নিয়োগ করেনি। দেশের বদনাম তো করছে আওয়ামী লীগ ও তার সরকার। কারণ এই সরকার বাকশাল না হলেও অলিখিত বাকশালের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে। বিগত ১৪ বছর ধরে গায়ের জোড়ে ক্ষমতায় বসে আছে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। যার ফলে দেশের কয়েকটি বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে; যা দেশের জন্য লজ্জাকর।
জনগণের সিদ্ধান্ত যতদ্রুত সম্ভব এই অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় করবে দাবি করে বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে যা ইচ্ছে তাই করছে। তাই বাংলাদেশের মানুষ সরকারকে বিদায় দিতে দাবি আদায়ে একমত হয়েছে। দেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গণতান্ত্রিক বিশ্ব অবগত। গণতান্ত্রিক বিশ্বও অতীতের মতো (২০১৪ এবং ২০১৮) সালের মতো নির্বাচন যেভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তা দেখতে চায় না। বরং বাংলাদেশের সকল কার্যক্রম আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাস বিকৃত করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
এরশাদের চেয়েও এই সরকার জঘন্য স্বৈরাচার অ্যাখ্যা দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সত্যের অপলাপ, অপপ্রচার, সত্য গোপন করা এই অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকারের চরিত্র।
এমএইচ/এএস