শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘সরকার চায় কূটনীতিকদের মধ্যেও ভয়-ভীতি পরিবেশ সৃষ্টি হোক’

অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যেভাবে চেপে রাখতে চাচ্ছে ঠিক একইভাবে এখন কূটনীতিকদের মধ্যেও ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত গুম হওয়া বিএনপির একজন নেতার বাসায় গেলে (মায়ের ডাক সংগঠনের প্রধান) সেখানে আরেকটি (জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নিহত পরিবারের সদস্যদের গড়ে উঠা মায়ের কান্না) সংগঠনের দ্বারা উদ্ভূত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পর (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) তিনি নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা নিয়ে ফিরে এসেছেন বলে জানান। এই বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

উত্তরে আমির খসরু বলেন, ‘এটা তো গভীর উদ্বেগের বিষয়। একজন কূটনীতিবিদ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। সেখানে যাওয়ার ফলে সরকারি দলের মদদে তাদের সহযোগিতায় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়াটাই তো আইনবিরোধী। তারা যদি আলাদা অনুষ্ঠান করতে চায়, অনুষ্ঠান করতে পারে। স্বাধীনতা আছে। কিন্তু আরেকটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানে অনুষ্ঠানের অনেকটা বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া এবং সেটিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার যে প্রক্রিয়া তা অগণতান্ত্রিক।’

আওয়ামী লীগ সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটাই প্রথমবার নয়। আমরা তো আগেও দেখেছি সরকারি দলের মদদে মার্কিন আরেকজন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকেটের নৈশ্যভোজের অনুষ্ঠান.. সেখানেও আক্রমণ করেছে, ভাঙচুর করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও আমরা একটি হোটেলে মানবাধিকার নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছি, সেখানেও একই লোকজন বাইরে থেকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে।’

‘বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলে সেখানে গিয়ে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা সরকারি মদদে। এটা তো আওয়ামী লীগের চরিত্রে পরিণত হয়েছে। সুতরাং একদিকে যেমন বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এখন দেখা যাচ্ছে কূটনীতিবিদদের নিরাপত্তা বাংলাদেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ এই দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তাদের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুবিদ সম্পর্ক আছে, সুসম্পর্ক আছে। শুধু এই একটি রাষ্ট্র নয়, অনেকের সঙ্গেই আছে। তাই এখানে যে দেশের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা, কূটনৈতিকদের নিরাপত্তাহীনতা এটা কি প্রতিফলন ঘটে? এটা বাংলাদেশের জন্য দেশের বাইরে ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের কে বলা হয়নি। সরকারকে বলে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া, যাবে না। তাদের যদি বলা না হয় সেখানে দুই দিন ধরে পুলিশের ঘোরাঘুরি হচ্ছে। তা ছাড়া রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও তো পুলিশ রয়েছেন। সরকার অবগত আছে। আর যদি বলাও না হয় এটার অর্থ যে- কোথায় না বলে গেলে সেই মানুষগুলো কি নিরাপত্তা পাবে না? এটা হতে পারে নাকি! বলে গেলে আপনি নিরাপত্তা পাবেন আর না বলে গেলে নিরাপত্তা পাবেন না, এটাও তো একটা দেশের যে নিরাপত্তার চরিত্র সেটার কি প্রতিফলন ঘটছে না? এই ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এর আগে মার্শা বার্নিকাটের বহরে যে হামলা করেছে তারও তো বিচার হয়নি। মায়ের কান্না সংগঠনের নামে একই লোকগুলো আমাদের অনুষ্ঠানে গিয়ে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। তারা তাদের অনুষ্ঠান করতে পারে.. কিন্তু অন্যের অনুষ্ঠানে গিয়ে বাধাগ্রস্ত করা এটা তো আইনবিরোধী। তাদের বিরুদ্ধে তো সরকারের বিভিন্নভাবে অ্যাকশনে যাওয়ার কথা। তাই নয় কি? এটা তো আমরা দেখছি না। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, কারও বিচার হয়নি। এই ধারা চলতে থাকলে দেশের মানুষের সঙ্গে বিদেশিদের নিরাপত্তা, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা যদি একটি দেশে বিঘ্ন হয়, যা দেশের সত্যিকার চরিত্র তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে প্রতিফলন ঘটছে।’

‘এটা পরিষ্কার যে এভাবে ঘটনাটি ঘটছে, এটা যে সরকারের মদদে সরকারের সহযোগিতায় তা তো তাদের কথাবার্তায় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীদের কথা বার্তায় পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনাকে তারা ইন-ডাইরেক্টলি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কারণ তাদের (সরকার) মদদ ব্যতীত এই ধরনের কর্মকাণ্ড হওয়া সম্ভব নয়। একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে সেখানে অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানের লোকজন গিয়ে চেষ্টা করাটাও তো আইনবিরোধী। আমি মনে করি, মার্শা বার্নিকাটের উপর যে আক্রমণ হয়েছে সেখানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, বিচারও হয়নি। এসবের পেছনে কারা আছে এটা সরকার নিজেরাই প্রমাণ করছে। তাদের কথাবার্তা অ্যাকশনে প্রমাণ করছে এখানে তাদের মদদ আছে, সহযোগিতা আছে। তারা চাচ্ছে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটুক, এর মাধ্যমে একটা ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হোক। অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যেভাবে চেপে রাখতে চাচ্ছে ঠিক একইভাবে এখন কূটনীতিকদের মধ্যেও ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো জেলেই আছেন, আপনি কেমন আছেন প্রশ্নে আমির খসরু বলেন, ‘ভালোই আছি। রাজনীতির একটা অংশ জেল।’

এমএইচ/এসজি

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার