‘সরকার ফের গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে গ্রেপ্তার-গায়েবি মামলার পর আবারও গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, গুম-খুন থামছে না। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদের তুলে নেওয়া হচ্ছে। ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিমকে ১২ ডিসেম্বর ডিবির পরিচয়ে তুলে নেওয়া হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা স্বীকার করছে না। ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের উপর হামলার পর এখনো অনেক নেতা-কর্মী নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
এমরান সালেহ বলেন, সরকারের আচরণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও সংবিধানবিরোধী। সরকারের দুঃশাসনে দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। জনগণ ফ্যাসিবাদকে মোকাবিলা করতে রাজপথে নেমে এসেছে। আন্দোলন তীব্র করা হচ্ছে, কোনোভাবেই সেই আন্দোলন নস্যাৎ হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অপশাসন থেকে বিদেশিরাও নিরাপদ নয়। এতে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, হবে। আওয়ামী লীগের নির্দেশে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি তারিখ পরিবর্তন হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি এখনো নির্ধারিত আছে। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে ২৪ ডিসেম্বর কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। তাই ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির দেওয়া কর্মসূচি থাকবে কি না সেই বিষয়ে দলটির শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ বিএনপি সৌহার্দ্যের রাজনীতি করে, সংঘাতের পথে যেতে চায় না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক এমপিরা কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও শুরুতে তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছে না। কারাবিধি অনুযায়ী গ্রেপ্তারদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সহসম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহসম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
এসএন