মানুষ শিক্ষিত হলে আওয়ামী সরকারের সমস্যা: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চায় না দেশে শিক্ষিত মানুষ থাকুক। দেশের মানুষ শিক্ষিত হলে তারা অধিকারের কথা বলবে এইজন্য শিক্ষাকে বর্তমান সরকার দমিয়ে রাখতে চায়।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে স্বাধীনতার ঠিক পূর্বমুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর বাহিনী হঠাৎ করেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতা করত যারা তাদের হত্যা করেছিল। তারা জানত, তারা বুঝতে পেরেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, স্বাধীনতা তারা ঠেকাতে পারবে না।
মঈন খান বলেন, তারা জানত একটি দেশের উন্নতি নির্ভর করে দেশের শিক্ষিত সমাজের উপরে। তাই শিক্ষিত সমাজকে যদি ধ্বংস করে দিতে পারে, তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে পারবে। সে কুচিন্তা থেকে এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকারও এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, তারা চায় না দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক। দেশের মানুষ শিক্ষিত হলে তারা অধিকারের কথা বলবে, গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলবে। কথা বলার স্বাধীনতা চাইবে। সংবাদপত্র মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটাতে পারে, সে সম্বন্ধে সোচ্চার হবে।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে পরিচিত ছিল। এখন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও স্থান করে নিতে পারে না। শিক্ষাব্যবস্থাকে ঠিক পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদররা যেভাবে ধ্বংস করেছিল, আজকে ঠিক সেভাবেই দেশের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষের সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন করতে হলে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও শিক্ষায় দেশকে উন্নত করতে হবে। অস্ত্র দিয়ে, সন্ত্রাস করে দেশকে কোনোদিন উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া যায় না। মেগা প্রজেক্টের নামে দুর্নীতি করে দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যায় না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক, দল যুবদল, শ্রমিক দল, ও বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
কেএম/এসএন