সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সমাবেশে বসে যাবে, ক্ষমতাসীনদের অপপ্রচার’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ওদের এই প্রচারণায় বেশি গুরুত্ব দেই না। কারণ জনগণ ওদের এই প্রচারণায় বিশ্বাস করে না। আমাদের কনসার্ন জনগণ। জনগণ খুব ভালো করে বুঝে গেছে যে, আওয়ামী লীগ একটা মিথ্যাচার করা দল। তারা এই মিথ্যাচার করে, ভুল ভুল প্রতারণা করে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যেমন উন্নয়ন বিভ্রম সৃষ্টি করেছে, তেমনি একইভাবে ভুল প্রচার করে গণতন্ত্র ও রাজনীতি বিভ্রম শুরু করেছে। এটা ছাড়া তারা টিকতে পারে না।

‘যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে’

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারবিরোধী দলগুলো মিলে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব। পুলিশি অবরোধ থাকলেও শনিবার (১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনেই সমাবেশ হবে বলে ফের ঘোষণা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান এবং নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয় নিয়ে বিএনপি মহাসচিব স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ নেতাদের নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, আমরা আমাদের সমাবেশ অনুষ্ঠান করবই। এজন্য চেয়েছিলাম নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এখন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এই সমাবেশকে শান্তিপূর্ণভাবে করার ব্যবস্থা করা। আমার অবশ্যই আমাদের সমাবেশস্থলে যাব। আর জনগণ কী করবে সেটা জনগণই ডিসাইড করবে।

নয়াপল্টন সড়ক পুলিশ অবরোধ রেখেছে সেখানে কীভাবে সমাবেশ করবেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা ২২ আগস্টের আগে অনেকেই বলেছেন, বিএনপি কিছুই পারে না। ২২ তারিখের পর ৯টি সমাবেশ হয়েছে না? আপনারা নিজেরাই দেখেছেন জনগণ কীভাবে উঠে দাঁড়াচ্ছে? একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই বিশ্বাস করি যে,গণতন্ত্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সেই গণতন্ত্র আজকে পুরোপুরিভাবে এরা লুট করে নিয়ে গেছে। সেটাকে ফিরে পাওয়ার জন্য জনগণ উঠে দাঁড়াচ্ছে, জনগণ ফুলে উঠছে, নদী সাঁতরে পার হচ্ছে, ভেলা দিয়ে নদী পার হচ্ছে, ১০০ মাইল সাইকেলে, হেঁটে চিড়া-মুড়ি-গুড় নিয়ে সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হচ্ছে।

‘অপেক্ষা করুন, ঢাকায় যা দেখবেন তা আপনারা নিজেরা স্বচক্ষে দেখবেন’

তিনি বলেন, ১০ তারিখ আমাদের বিভাগীয় সমাবেশের শেষ কর্মসূচি। এই সমাবেশ থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমাদের যেসব দাবি রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর …। আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। সেখান থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু করব। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে এই আন্দোলন থাকবে।

‘পুলিশি অভিযান কর্তৃত্ববাদের বর্হিপ্রকাশ’

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল নয়াপল্টনে পুলিশের এই জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, বর্বরোচিত হামলা সরকারের ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদের বর্হিপ্রকাশ মাত্র। এই ঘটনা প্রমাণ করে বর্তমান সরকার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যা গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত। পুলিশের বর্বরোচিত, কাপুরষোচিত হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দার ভাষা আমাদের নেই। গতকালের ঘটনা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার শামিল। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে গণআন্দোলনে পতনের ভয়ে ভীত হয়ে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

সরকারকে অগণতান্ত্রিক পথ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পুলিশ প্রত্যাহার এবং ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবিও জানান তিনি।

‘পুলিশের বোমা বিস্ফোরণ-উদ্ধার নাটক’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে পুলিশ সেখান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। অফিসের কর্মচারীদেরও তারা গ্রেপ্তার করেছে। এরপর পুলিশ নিজেদের রেখে আসা বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণ নামের নাটক সাজায় ও মিথ্যাচার করে। আমি যখন গতকাল বিএনপি অফিসে যেতে চাই সেখানে তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। আমার সামনেই পুলিশ সেখানে অসংখ্য বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শুধু পুলিশ নয়, পুলিশের সঙ্গে সোয়াট বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এই সন্ত্রাসে নিয়োজিত ছিল। যে গুলি করেছে তার আলোকচিত্র এসেছে গণমাধ্যমে, আর্জেন্টিনার ড্রেস পরে গুলি করছে।

‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন’

মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ দাবি করছে যে, বিএনপি কার্যালয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে এবং অনেক পাওয়া গেছে, কয়েক বস্তা নাকি পাওয়া গেছে। তারা উদ্ধারের তল্লাশি চালানোর জন্য ক্রাইম সিন ঘোষণা করেছে নাকি আমাদের অফিসসহ এলাকাটিকে। অথচ আইন হচ্ছে যদি কোনো বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালাতে হয় তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সঙ্গে রাখতে হবে। নিরপেক্ষ সাক্ষী থাকতে হবে। সাধারণত এই ধরনের তল্লাশি চালাতে হলে সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হয়। এই ক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। উপরন্তু আমাদের কার্যালয়ে না ঢুকতে দিয়ে পুলিশ চার ঘণ্টা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুর করেছে, বোমা রেখেছে, এই সব বিস্ফোরক নাটক তারা তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, পুলিশ বিএনপি অফিসে অযাচিতভাবে প্রবেশ করে নিচ তলা থেকে ৬ তলা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কক্ষ তচনচ করেছে। এমনকি দলের চেয়ারপারসনের কক্ষ, মহাসচিবের কক্ষ, অফিস কক্ষের দরজা তারা অন্যায়ভাবে ভেঙে প্রবেশ করে এবং সব আসবাবপত্র, ফাইল, গুরুত্বপূর্ণ নথি তচনচ করে। তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক এমনকি দলীয় সদস্যদের দেওয়া মাসিক চাঁদার টাকা, ব্যাংকের চেক বই, নির্বাচন কমিশন সংক্রান্তসহ সব গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে গেছে।

‘১৬০ বস্তা চাল উদ্ধার প্রসঙ্গ’

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ঢাকা বিভাগের সমাবেশ। বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা আসবেন সমাবেশের উপস্থিত হতে। আমি জানি না, আমার নলেজেই নাই। এমনও তো হতে পারে সেটা দেওয়া হয়েছিল ওই সমাবেশে যারা আসবেন তাদের জন্য খিচুরি-টিচুরি রান্না করার জন্য। এটা হতে পারে। তবে ওইখানে ১৬০ বস্তা চাল রাখার কোনো জায়গায় নাই। এটা পুরোপুরি মিথ্যা, এ টোটালি ব্ল্যাটেড লাই। আর দুই লাখ বোতল রাখাও জায়গা সেখানে নেই।

‘আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী দল’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে তারা যে বলেছেন, পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেবে এরকম বিষয়গুলো খুব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, তারা পুরোপুরিভাবে একটা সন্ত্রাসী দল। গণতন্ত্রের যে মূল কথা- সহনশীলতা এবং বিরোধী দলকে রাজনীতি করতে দেওয়া। যেটা আমার সংবিধান সম্মত অধিকার। সেগুলোতে তারা বিশ্বাস করে না। তারা যে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনা করছে সেটা আরও স্পষ্ট হয়।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথা থেকে এবং ঢাকার ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এটা একটা পরিকল্পিত প্লট যে প্লট তৈরি করে তারা ১০ ডিসেম্বর আমাদের শান্তিপূর্ণ যে সমাবেশ সেটাকে পণ্ড করতে চায়। এটা আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি। আওয়ামী লীগ যে দল তার দুইটা বিষয় আছে- একটা হচ্ছে সন্ত্রাস আরেকটা হচ্ছে দুর্নীতি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্বপন, ফাহিমা মুন্নী, জিএম সিরাজ, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, সুলতান মো. বাবু, আবুল হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২