নয়াপল্টন থেকে রিজভী-সালাম-আমানসহ আটক শতাধিক
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার পর তাকে আটক করা হয়।
এর আগে নয়াপল্টন থেকে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিএনপি নেতা আমানসহ বেশ কয়েকজন আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য নেতা-কর্মীরা হলেন- গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক প্রমুখ।
এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে পুলিশ অভিযান চালায়।
এদিকে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মকবুল আহমেদ। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক (ইনচার্জ) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানা যায়নি।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে নয়াপল্টনে ছুটে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকাল ৪টার দিকে তিনি কার্যালয়ে যান। ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।
এমএইচ/এসজি