বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক শুরু

সরকারবিরোধী একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম গড়তে দ্বিতীয়বারের মতো বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পৌনে ১২টার দিকে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের দ্বিতীয় তলায় বিএনপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বাকী সদস্যরা হলেন-মনিরুল হক চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
অপরদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের উপস্থিত রয়েছেন- নাগরিকত ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন স্বপন, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের একটি সূত্রে জানা গেছে, আসলে কোন প্রক্রিয়ায় যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা আসবে। এ ছাড়াও বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের পরিকল্পনা বা কর্মকৌশল কী হবে, সেটাও জানতে চাওয়া হবে।
৭টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ। দলগুলো হচ্ছে- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন।
যদিও এর আগে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিএনপি। পরবর্তীতে বিএনপির সঙ্গেও গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হয়।
উভয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগামী দিনে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ঐক্যমতে পৌছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও প্রাথমিকভাবে ঐক্যমতে পৌঁছায় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নয়। বরং কিভাবে সরকার পতনে রাজপথের আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে অথবা ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরকারবিরোধী যুগৎপথ ভাবে অংশ নেওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭টি রাজনৈতিক দল। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একমত হতে কাজ করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
এমএইচ/এসআইএইচ
