‘ইউএনের পরামর্শ সরকারের মাথায় ড্রিল করে ঢুকাতে হবে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বাংলাদেশে অবস্থানকালে বাংলাদেশের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। তিনি যে প্রেস কনফারেন্স করেছেন সেখানে পরিষ্কারভাবে বলে গেছেন বাংলাদেশ কোথায় অবস্থান করছে। তিনি লাস্টে যেটা বলেছেন, এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে একটা স্বচ্ছ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি তদন্তের প্রস্তাব দিয়ে গেছেন এবং প্রয়োজনে জাতিসংঘের ওয়ার্কি গ্রুপ এই তদন্তে সহায়তা করবে সেটাও বলে গেছেন। এরপরেও যদি তাদের (সরকার) মাথায় এই বিষয়টা না ঢুকে তাহলে তাদের মাথা ড্রিল করা ছাড়া উপায় নাই। ড্রিল করে ঢুকাতে হবে অন্যথায় এটা ঢুকবে না।’
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এই মন্তব্য করেন।
জেলা ও উপজেলায় হামলার পর বিএনপি কি আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রশ্নই উঠে না। বিএনপি তো আন্দোলন শুরুই করেছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই এই ভয়াবহ দানবীয় মনস্টার একটা শক্তি যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদেরকে সরানো এবং তাদেরকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আবার একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে পেতে চাই।’
‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাসেলেটের যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে এমন কিছু বলা হয়নি যে বাংলাদেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন’- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অপব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং সত্যের অপলাপ করেছেন। ইউএস হিউম্যান রাইটসের যে রিপোর্ট সেই রিপোর্টে আজকে না পর পর গত চার-পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো উঠে আসছে। আপনারা নিজেরাও জানেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্টেও তা উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিশেল ব্যাসেলেটের যে সাংবাদিক সম্মেলন সেখানে পরিষ্কারভাবে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে এবং এটাও বলা হয়েছে যে, যদি এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে থাকে এবং এর সঙ্গে যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকেন সে বিষয়টা তারা উল্লেখ করেছেন। তাহলে সেই বিষয়টি দেখার জন্য একটা সিস্টেম তৈরি করা উচিত। সব শেষে গুরুত্বপূর্ণ যে কথা বলেছেন, সেটার জন্য একটা সম্পূর্ণ স্বাধীন সংস্থা তৈরি করতে হবে যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তদন্ত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির মিডিয়া সেলের শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শায়রুল কবির খান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এসজি