দেশ এক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে যাচ্ছে: রিজভী
দেশ এক ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘চারদিকে অশনি সংকেত আর ঘোর অন্ধকার নেমে আসছে। সর্বত্রই অস্বস্তি-অস্থিরতা। ক্ষমতাসীনদের বিশৃঙ্খলা ও অপকীর্তির শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যদি মুরোদ থাকে পুলিশ লীগের বেষ্টনী ছেড়ে রাজপথে নামেন। জনগনের প্রতিরোধে পালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পাবেন না। তবে দেশের দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জনগণ রাজপথে নেমেছে। আপনাদের বক্তব্য পতনের পূর্বে আর্তচিৎকার। শ্রীলঙ্কার চেয়ে পরিণতি করুন হবে আপনাদের।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা রাজপথে এখনো নামিনি, আগামী মাসে পরিপূর্ণভাবে নামব। রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না। তাদের কীভাবে গর্তে ঢুকাতে হয় সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হবে।’
রবিবার (১৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদের বক্তব্যে সমালোচনায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের এই বক্তব্যই প্রমাণ করে তারা কতটা হিংস্র চরিত্রের। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা, গান পাউডার ছিটিয়ে বাসযাত্রী হত্যা, গুম-খুন যাদের অভ্যাস৮ তাদের মুখেই কেবল এই ধরনের ফ্যাসিবাদী হুংকার শোনা যায়।
রিজভী বলেন, ভোট ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠা জনসমুদ্র দেখে সরকারের মাথা বিগড়ে গেছে। তারা তাদের বিদায়ের সাইরেন শুনতে পাচ্ছেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া সরকারের মন্ত্রীরা স্ববিরোধী বক্তব্যের প্রলাপে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকার পরিকল্পিতভাবে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে।দুর্নীতির কারণে দেশ এখন দেউলিয়া ঘোষণার অপেক্ষায়। কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা দেশকে সিঙ্গাপুর-অস্ট্রেলিয়া-কানাডার সঙ্গে তুলনা করে গলাবাজি করত। দেশকে ঋণের ফাঁদে ডুবিয়ে এখন তারা ফুটো বেলুনের মতো চুপসে গেছে।’
‘জ্বালানি, বিদ্যুৎ সংকট, ডলারের বিপরীতে গত তিন মাস যাবত টাকার মানের ক্রমাগত পতন এবং রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি-দেশের অর্থনৈতিক গতিপথ নিয়ে জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।’
আওয়ামী লীগ এতদিন বলতো দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে, মূলত: দেশে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি বিরাজমান।
এমএমএ/