বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের মারামারি, আহত কয়েকজন
বিএনপির সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাবেক ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদ নয়নের নেতৃত্বে কয়েকজনের একটি গ্রুপের অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায়। এসময় উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী তাদের থামাতে গেলে নেতা-কর্মীরা তার উপর চড়াও হয়।
এসময় ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পাভেল মোল্লা, ঢাকা জেলা তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হীরা হোসেন, যুবদল নেতা বাদল হোসেন, বিএনপির নেতা আল আমিন আহত হন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আহত নেতা-কর্মীদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
জানতে চাইলে নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকায় আসেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তাদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীদের পাশে নির্ধারিত স্থানে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন ও সদস্য সচিব এনামুল হক এনাম। এর কিছুক্ষণ পর হাতে গোনা ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে সেখানে হাজির হন রবিউল ইসলাম নয়ন। কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের তুলে দিয়ে বসতে চায়। একপর্যায়ে কেরানীগঞ্জের এক কর্মীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে নয়ন। এসময় কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় থামাতে গেলে নয়নসহ তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা তার ওপরও চড়াও হন এবং কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীদের মারধর করে। একপর্যায়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীরা নয়নকে ধরে উত্তম মধ্যম দেয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখলে যুবদলের কেন্দ্রীয় এক নেতার হস্তক্ষেপে স্থান ত্যাগ করেন নয়ন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আহত নেতা-কর্মীরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী এলাকার। সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার সাংগঠনিক শাস্তি দাবি করেন।
এমএইচ/এসজি/