নাসিক নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে আতঙ্কিত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা: নানক
'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে আতঙ্কিত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি। নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা উন্নয়নের পক্ষে শান্তির পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে। বিএনপির এখন কিছুই ভাল লাগে না। ওদের ভাল লাগার ওষুধ আমাদের কাছে নেই।'
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
নানক বলেন, যারা ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন একটি তথাকথিত নির্বাচন করেছিল। সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করেছিল বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল। যে নির্বাচনটিতে তাদের কর্মীরা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে যায়নি, সেই নির্বাচনে ২৭৮টি আসন তারা ঘোষণা দিয়ে রাতের অন্ধকারে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেদিন যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করতে গিয়েছিলেন তাদের ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই বেহায়ারা আবার আমাদেরকে নির্বাচন শেখায়। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল রশিদকে নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।
‘সেই বেহায়ারা আজকে কথা বলে। সেই বেহায়ারা আজকে আমাদেরকে ভোট শেখায়। সেই বেহায়ারা যারা যাদের জনক সামরিক ছাউনীতি উর্দি পোশাক পরে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিল। সেই সেনা ছাউনীতে বসে সকল সেনা আইনকে উপেক্ষা করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তথাকথিত হ্যাঁ-না ভোট করে সেই তারা বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখায়, ভোট ব্যবস্থা শেখায়, নির্বাচনের ব্যবস্থা শেখায়।’
নানক বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরে যে আইন প্রণয়ন হয়নি। একটি নির্বাচন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়নি। সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করেছিলেন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করে সেটির একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন। এই নির্বাচন কমিশন আইন গঠন করতে গিয়ে বিরোধী দলের নেতারা পর্যন্ত বক্তব্য দিয়েছেন এবং তারা সংশোধনী এনেছে। সেই সংশোধনীর আঙ্গিকে সংসদে খসড়া বিল হয়। সেই খসড়া বিলের যে নামাকরণ ছিল সেই নামাকরণ বিরোধী দলের প্রস্তাবে পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে নানক বলেন, সেই তারা এখন আমাদেরকে নির্বাচন শেখায়। নির্বাচন ব্যবস্থা শেখায়। যাদের জন্ম সামরিক জান্তার গর্ভ থেকে। তারা এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখায়। যাদের জন্ম হল ২৪ ঘন্টা কারফিউ দিয়ে মানুষকে দমন-নিপীড়ন, সেই তারা আজ বাংলার মানুষকে গণতন্ত্র ভোট ব্যবস্থা শেখায়। কাজেই আজকে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির কাছে একটি বার্তা গিয়েছে, যে বার্তার কারণে উন্মাদ হয়ে গিয়েছে তারা। সেই উন্মাদনায় এখন ওদের কিছুই ভাল লাগে না। ওদের এখন কিছুই ভাল লাগে না। কাজেই ভাল লাগে না, এই ঔষধ আমাদের কাছে নেই। এই দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও ওদেরকে প্রত্যাখান করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল, নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রমুখ।
এসএম/এএস