ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাবেক সরকার ও দলের অনেক কর্মী সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের জয় এবং তার প্রশাসনের নীতিকে সমর্থন করে পোস্ট দিচ্ছেন। এ উচ্ছ্বাসের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চাপ প্রয়োগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সেই চাপ কমবে। বিশেষত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থন এবং তার সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ট্রাম্পের নীতিতে ভিন্ন চিত্র দেখাবে বলে তাদের বিশ্বাস। এছাড়া, ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর নীতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা মনে করছেন।
তবে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন আসলেও তাদের নীতিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায় এবং বর্তমান প্রশাসনের সংস্কার কার্যক্রমের সাথেও তারা সাযুজ্যপূর্ণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুজিবুর রহমানের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশে মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব বহন করে। এর প্রভাব সরাসরি কূটনৈতিক পরিবর্তন না ঘটালেও, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এটি শক্তিশালী সমর্থনের একটি বার্তা হিসেবে কাজ করে। মার্কিন সমর্থনের ধারণা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে কোনো পক্ষ উচ্ছ্বসিত হয়, আবার কোনো পক্ষ হতাশ হয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্বকে আরও একবার সামনে এনেছে, যা ভবিষ্যত রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সমর্থনে প্রভাব ফেলতে পারে।