শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আস্থা-অনাস্থার দোলাচলে মহাজোট

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা বহমান। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, আরেকটি জাতীয়বাদে বিশ্বাসী। দুই চেতনার রাজনীতির মূল লক্ষ্য থাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করা। তবে এই দুই চেতনার দুই জোটের নিয়ন্ত্রণ সবসময় থাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাতে। জোটে অন্য দল থাকলেও নির্বাচনী মাঠে তাদের ভূমিকা খুবই সামান্য। অনেক দল আছে তাদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতাও নেই। শুধু জোটে যুক্ত থেকে নিজেদের পরিচয়টা টিকিয়ে রাখেন। বিগত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের রূপরেখায় ভোটের মাঠে দাপট দেখিয়েছে। আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই জোট-মহাজোটের হিসাব-নিকাশ কষার সময় চলে এসেছে। আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে। তাই কোন জোটে কে থাকবে না থাকবে তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

এরইমধ্যে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ দলীয় জোটের কোনো কোনো দল জোটে থাকলেও নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আবার কোনো কোনো দল নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতানৈক্যে পৌঁছতে পারছে না বলে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে নির্বাচনে ভূমিকা না রাখতে পারলেও আদর্শিক যে জোট, সেটা অব্যাহত রাখার পক্ষে অনেক দলই ঐকমত্য।

জোট-মহাজোটের এই রূপরেখায় দেখা দিয়েছে আস্থা-অনাস্থার দোলাচল। মহাজোটের বড় শরিক জাতীয় পার্টি মনে করছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকায় নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করছে, নিজেদের যে একটি প্রতীক রয়েছে, সেটাই মানুষ ভুলতে বসেছে। তাই জোটে থাকলেও নিজেদের প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান। আবার আওয়ামী লীগ মনে করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নিজেদের আদর্শিক জোট টিকে থাকবে, পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে জোট সম্প্রসারণ হতে পারে।

জোট-মহাজোটের এই খেলায় শেষ পর্যন্ত কি হয় বলা মুশকিল। তবে চাওয়ার পাওয়ার হিসাব মেলাতে গেলে অনেকেই নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে কোন দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা বেশি সেই জোটের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে অনেক দল। আওয়ামী লীগ টানা তিনটি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় জোটের শরিকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তারা মনে করে তাদের ব্যবহার করেই ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।

তবে ওইসব দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিশেষ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শরিক দল থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না দেওয়ায় মনোকষ্টে ভুগছেন অনেক নেতা। তবে আওয়ামী লীগ মনে করছে, জোটে যারা আছে তাদের উপর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়া সরে গেলে অনেকেই টিকে থাকতে পারবে না।

জোট-মহাজোটে এখন কারা আছেন

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আদর্শিক জোট। ২৩ দফার ভিত্তিতে এই জোট গঠিত হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণফোরাম, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ১১ দলীয় জোট মিলে এই জোট গঠিত হয়। জোট গঠনের পরপরই ১৪ দল থেকে বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণফোরামসহ কয়েকটি ছোট দল। তবে জোটটি ১৪ দল নামেই এখনও সক্রিয় আছে।

বর্তমানে জোটে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), জাসদ (আম্বিয়া), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, বাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) ও গণআজাদী লীগ। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোট হলো মহাজোট। ১৪ দলের শরিকদের পাশাপাশি এ জোটে আছে জাতীয় পার্টি ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট।

নির্বাচনী এই জোট একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর অনেকটাই যার যার মতো হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনের আগে সেই জোট থাকবে, না কি অন্য জোটে চলে যাবে–সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আদর্শগত যে জোট, সেটি ভাঙার সুযোগ কম। কেননা বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলো সেই জোটে ভেড়ার সম্ভাবনা কম।

জোট বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জোট তো বাড়তে পারেই। যেহেতু রাজনীতি করি জোটের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। জোট বাড়তে পারে। কিন্তু যাদের সঙ্গে জোট হবে তাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে হবে, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সেই শক্তিকে নিয়েই আমরা জোট সম্প্রসারণ করতে পারি। সেই সম্ভাবনা আছে।’

নির্বাচনী জোট ও ১৪ দলের জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জোট আমাদের আছে, থাকবে। তবে ১৪ দলের যে আদর্শিক জোট সেখানে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে পারছি না। গেল কয়েকটি ইস্যুতে আমরা সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারিনি। শুধু বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক কিছু প্রোগ্রাম হয়। এ ছাড়া জাতীয় ইস্যুতে আমরা ভূমিকা রাখতে পারছি না। নির্বাচনী যে জোট সেটা থাকবে, তবে আমাদের দাবি থাকবে এবার নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করা।’

জোট প্রসঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জোট আছে, জোট থাকবে। মহাজোট নিয়ে কোনো কথা হয়নি আমাদের মধ্যে। আগামী নির্বাচনে কারা থাকবে না থাকবে, সে বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা হয়নি। একটা জোটে দশ জন থাকলে দশ রকম মত থাকতে পারে। তবে জোটে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের জোটে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা একটা অবস্থার প্রেক্ষিতে জোটে গেছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আমরা আর মহাজোটের কেউ না, মহাজোট বলতে কিছু নেই। আমরা জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল। আমাদের নিজস্ব রাজনীতি আছে, আমরা আমাদের নিজস্ব রাজনীতি করছি। জাতীয় পার্টি কোনো জোট নিয়ে ভাবছে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তিন শ আসনেই প্রার্থীতা চুড়ান্ত করার কাজ করছে জাতীয় পার্টি।’

এ বিষয়ে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘১৪ দল তো আছেই, আমরা ১৪ দলেই আছি। নির্বাচন তো এখনও দুই বছর বাকি। যখন নির্বাচনের ঘোষনা আসবে, তখন দেখা যাবে কোন দিকে কে থাকে। আমাদের কোনো দূরত্ব নেই।’

জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে কি না আদৌ সেটা ঠিক জানি না। আমরা ১৪ দলে থাকব কি না সেটি সময়ই বলে দেবে। এখন জোটের কোনো কার্যকারিতা নেই। জোটের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই। আওয়ামী লীগের বড় শরিকদের সরকার আছে। তারা সব লুটপাট অনাচারে ব্যস্ত আছে। আওয়ামী লীগও সেটিকে সাপোর্ট করছে। জোটে মাঝে মাঝে বিভিন্ন দিন উদযাপন করে, যা আমরা দলের মধ্য থেকেই করি।’

বাসদের একাংশের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোট আছে, কার্যক্রম আছে। ভার্চুয়ালি কার্যক্রম চলছে। আদর্শিক কারণে আমরা জোট করেছিলাম, সেটা ঠিক আছে। কিছু সংঘাত আছে। ১৪ দলীয় জোট আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে আগামীদিনে।’

এসএম/কেএফ/এসএ/

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ